বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের এক পাইলটের মৃত্যু

চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে)  দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) তিনি চিকিৎসাধীন অব

চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে)  দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  আহত আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, আজ সকালে উড্ডয়নের সময় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ট্রেনিং পরিচালনার সময় বিধ্বস্ত হলে বিমানটির পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেন। পরে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ভর্তি করা হয়। দুপর ১২টার কিছুক্ষণ পরে অসীম জাওয়াদ নামের এক পাইলট মৃত্যুবরণ করেন। আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটির পেছনে আগুন লাগে। এ সময় বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে  লাফ দেন। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় বোট ক্লাবের কাছে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন পান। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন তিনি।পেশাজীবনে কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়েছেন অসিম জাওয়াদ। ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্থায় মারা যান।  আহত আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, আজ সকালে উড্ডয়নের সময় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ট্রেনিং পরিচালনার সময় বিধ্বস্ত হলে বিমানটির পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেন। পরে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ভর্তি করা হয়। দুপর ১২টার কিছুক্ষণ পরে অসীম জাওয়াদ নামের এক পাইলট মৃত্যুবরণ করেন। আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটির পেছনে আগুন লাগে। এ সময় বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে  লাফ দেন। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় বোট ক্লাবের কাছে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন পান। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন তিনি।পেশাজীবনে কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়েছেন অসিম জাওয়াদ। ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের এক পাইলটের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৫:০২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে)  দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) তিনি চিকিৎসাধীন অব

চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে)  দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  আহত আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, আজ সকালে উড্ডয়নের সময় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ট্রেনিং পরিচালনার সময় বিধ্বস্ত হলে বিমানটির পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেন। পরে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ভর্তি করা হয়। দুপর ১২টার কিছুক্ষণ পরে অসীম জাওয়াদ নামের এক পাইলট মৃত্যুবরণ করেন। আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটির পেছনে আগুন লাগে। এ সময় বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে  লাফ দেন। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় বোট ক্লাবের কাছে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন পান। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন তিনি।পেশাজীবনে কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়েছেন অসিম জাওয়াদ। ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্থায় মারা যান।  আহত আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, আজ সকালে উড্ডয়নের সময় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ট্রেনিং পরিচালনার সময় বিধ্বস্ত হলে বিমানটির পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেন। পরে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ভর্তি করা হয়। দুপর ১২টার কিছুক্ষণ পরে অসীম জাওয়াদ নামের এক পাইলট মৃত্যুবরণ করেন। আরেক পাইলট চিকিৎসাধীন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটির পেছনে আগুন লাগে। এ সময় বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে  লাফ দেন। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় বোট ক্লাবের কাছে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন পান। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন তিনি।পেশাজীবনে কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়েছেন অসিম জাওয়াদ। ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।