বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছেছে। সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। আগামীকাল লাইটার জাহাজে করে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সদস্যদের চট্টগ্রামে নেওয়া হবে।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর বাড়ির পথে যাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি যেন দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানিয়েছিলেন, জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে সোমবার সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমদানিকারকের পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্গো খালাস করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের পর ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছেছে। সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। আগামীকাল লাইটার জাহাজে করে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সদস্যদের চট্টগ্রামে নেওয়া হবে।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর বাড়ির পথে যাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি যেন দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানিয়েছিলেন, জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে সোমবার সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমদানিকারকের পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্গো খালাস করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের পর ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।