সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : বাঁধ ভেঙে প্লাবিত রাঙ্গাবালীর ২০ গ্রাম

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে চার থেকে পাঁচ ফুট। এর ফলে কোথাও বাঁধ ভেঙে, কোথাও বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।  এত করে এই উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ নয়ারচর এলাকায় গ্রামরক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বউবাজার, নয়ারচর, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, উত্তর চরমোন্তাজ, মোল্লাগ্রাম ও চর আণ্ডাসহ প্রায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গ্রামরক্ষা বাঁধের একাধিক জায়গা থেকে পানি প্রবেশ করায় গরুভাঙ্গা, চরলতা ও চিনাবুনিয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে দেড় কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ভাঙন মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, চালিতাবুনিয়ায় আগেই বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। আজ জোয়ারের পানিতে চরমন্তাজের অনেক জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ জায়গা প্লাবিত হয়েছে। আমরা পানিবন্দিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : বাঁধ ভেঙে প্লাবিত রাঙ্গাবালীর ২০ গ্রাম

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে চার থেকে পাঁচ ফুট। এর ফলে কোথাও বাঁধ ভেঙে, কোথাও বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।  এত করে এই উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ নয়ারচর এলাকায় গ্রামরক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বউবাজার, নয়ারচর, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, উত্তর চরমোন্তাজ, মোল্লাগ্রাম ও চর আণ্ডাসহ প্রায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গ্রামরক্ষা বাঁধের একাধিক জায়গা থেকে পানি প্রবেশ করায় গরুভাঙ্গা, চরলতা ও চিনাবুনিয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে দেড় কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ভাঙন মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, চালিতাবুনিয়ায় আগেই বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। আজ জোয়ারের পানিতে চরমন্তাজের অনেক জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ জায়গা প্লাবিত হয়েছে। আমরা পানিবন্দিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রয়েছে।