গর্ভধারণ যে কোনো নারীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন সময়। অনাগত সন্তানের সুস্থতার জন্য সব বিষয়ে অনেক ভেবেচিন্তে পা বাড়ান একজন গর্ভবতী মা। সেজন্য তারা মেনে চলেন নানা ধরনের নিয়মকানুন।
সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অনেক পুরুষের মধ্যেই ধন্দ রয়েছে। ৯ মাস ধরে এই দোটানায় অনেক পুরুষেরই স্ট্রেস হয়, আবার কেউ কেউ অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। নারীরাও অনেক সময় শূন্যতা বোধ করেন। যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে নানা সময়। যার আঁচ এসে পড়ে নতুন অতিথির ওপর। তা হলে গর্ভবতী স্ত্রীর সঙ্গে কি শারীরিক ঘনিষ্ঠ হওয়া ঠিক?
চিকিৎসকদের মতে, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক মিলন করা নিরাপদ। তবে তার জন্য বিশেষ কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর শারীরিক মিলন হলে দুজনের সম্পর্কের রসায়ন আরও জোরালো হয়। বৈবাহিক জীবন আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডেকে মনোবিদ ডা. নীরজা আগরওয়াল বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হলে সম্পর্ক নয়া গতি পায়। দুজনের বন্ধন আরও নিবিড় হয়। শুধু তাই নয়, এতে স্ট্রেস কমে। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হলে অক্সিটসিন নির্গত হয়। এতে সম্পর্কের সেতু আরও মজবুত হয়। এছাড়া কোনো জটিল সমস্যা না থাকলে ৯ মাস পর্যন্ত সবসময়ই স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলন নিরাপদ।
এছাড়া গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট কিছু সময়ে বিশেষ সতর্কতা মেনে চললে সহবাসে কোনো সমস্যা নেই বলে বিবিসিকে জানান ড. রেহেনা আক্তার। তিনি বলেন, প্রথম তিন মাস আর শেষ দুই মাস কিছুটা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। বিশেষ করে জটিলতা থাকলে এটা বলা হয়। তবে এসময় বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে সহবাস করা যায়। এছাড়া অন্য সময়ে কোনো সমস্যা নেই। এছাড়া গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কাজ ও হালকা শরীরচর্চাও করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 























