বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, ঝরলো ৫ প্রাণ

পশ্চিমবঙ্গে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার শিকার শিয়ালদাহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঘটা এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

জানা যায়, কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। এই বৃষ্টির মধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়ে রওয়ানা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি ও রাঙামাটি স্টেশনের মাঝে ঢুকতেই একটি মালগাড়ি পিছন দিক থেকে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে।

সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিক থেকে পরপর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে উলটে যায়। দুমড়েমুচড়ে গেছে অসংরক্ষিত কামরা। সেখানে আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পশ্চিমঙ্গ রেলওয়ে কর্মকর্তা, এনডিআরএফ বাহিনী, জিআরপি ও আরপিএফের জওয়ানরা।

দ্রুত উদ্ধার কাজে হাত লাগায় সবাই। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরা থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।

যেহেতু অসংরক্ষিত কামরায় প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল, তাই আশঙ্ক করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গ্যাস কাটার দিয়ে বগি কেটে উদ্ধার কাজ চলছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরার ভেতর থেকে এখনো গোঙানির শব্দ ভেসে আসছে।

যেহেতু একটি প্রত্যন্ত এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেহেতু ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে অনেকটা দূরে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। পরে যাদের আঘাত গুরুতর, তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক ও পর্যাপ্তসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে।

সোমবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। তার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। যদিও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় সংকেত ব্যবস্থার ত্রুটি রয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, ঝরলো ৫ প্রাণ

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার শিকার শিয়ালদাহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঘটা এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

জানা যায়, কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। এই বৃষ্টির মধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়ে রওয়ানা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি ও রাঙামাটি স্টেশনের মাঝে ঢুকতেই একটি মালগাড়ি পিছন দিক থেকে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে।

সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিক থেকে পরপর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে উলটে যায়। দুমড়েমুচড়ে গেছে অসংরক্ষিত কামরা। সেখানে আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পশ্চিমঙ্গ রেলওয়ে কর্মকর্তা, এনডিআরএফ বাহিনী, জিআরপি ও আরপিএফের জওয়ানরা।

দ্রুত উদ্ধার কাজে হাত লাগায় সবাই। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরা থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।

যেহেতু অসংরক্ষিত কামরায় প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল, তাই আশঙ্ক করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গ্যাস কাটার দিয়ে বগি কেটে উদ্ধার কাজ চলছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরার ভেতর থেকে এখনো গোঙানির শব্দ ভেসে আসছে।

যেহেতু একটি প্রত্যন্ত এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেহেতু ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে অনেকটা দূরে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। পরে যাদের আঘাত গুরুতর, তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক, এসপি, চিকিৎসক ও পর্যাপ্তসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে।

সোমবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। তার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। যদিও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় সংকেত ব্যবস্থার ত্রুটি রয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।