বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমপি হিসেবে শপথ নিলেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করে এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন টিউলিপ সিদ্দিক নিজেই। শপথ গ্রহণের একটি ভিডিও শেয়ার করে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, ‘চতুর্থবারের মতো এমপি হিসেবে শপথ নেওয়া সত্যিই সম্মানের। আমার কাছে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। আপনাদের সেবায় আমি আমার সেরাটা করব। আমার ওপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

দেশটির ক্ষমতায় আসা লেবার পার্টির সরকারের মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন এই সরকারে ‘সিটি মিনিস্টার’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টিকে বিশাল ব্যবধানে হারায় টিউলিপ সিদ্দিকের দল লেবার পার্টি। নির্বাচনে উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হন টিউলিপ সিদ্দিক।

গত শুক্রবার ৫ জুলাই সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচনে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

জয়ের পর টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের দোয়ায় চতুর্থবারের মতো আমি নির্বাচিত হলাম। বাংলাদেশি কমিউনিটি সব সময় আমাকে সমর্থন করে। আমি তাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ যে, তারা এবারও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন টিউলিপ সিদ্দিক। এছাড়া, তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সাথে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্য ছিলেন।

টিউলিপ সিদ্দিক ২০২০ সালে দেশটির শিশুবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে। ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও তিনি একই আসনে পুনর্নির্বাচিত হন। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের ‘দ্য প্রোগ্রেস ১০০০’ তালিকায় তিনি লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মধ্যে

Image not found
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট থেকে চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন তিনি।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট (৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ) পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ডন উইলিয়ামস পেয়েছের ৮ হাজার ৪৬২ ভোট।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে শিশু ও প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক শ্যাডো মন্ত্রী এবং শ্যাডো অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন উল্লেখযোগ্য।

২০১৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নের এমপি ছিলেন। একই বছরে তিনি ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডের প্রগ্রেস ১০০০ তালিকায় লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মধ্যে স্থান পেয়েছিলেন।

২০১৫ সালের মে মাসে তিনি প্রথমবার লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন থেকে ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন এবং তার প্রথম ভাষণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এমপি হিসেবে শপথ নিলেন টিউলিপ

প্রকাশিত সময় : ০৩:২১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করে এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন টিউলিপ সিদ্দিক নিজেই। শপথ গ্রহণের একটি ভিডিও শেয়ার করে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, ‘চতুর্থবারের মতো এমপি হিসেবে শপথ নেওয়া সত্যিই সম্মানের। আমার কাছে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। আপনাদের সেবায় আমি আমার সেরাটা করব। আমার ওপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

দেশটির ক্ষমতায় আসা লেবার পার্টির সরকারের মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন এই সরকারে ‘সিটি মিনিস্টার’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টিকে বিশাল ব্যবধানে হারায় টিউলিপ সিদ্দিকের দল লেবার পার্টি। নির্বাচনে উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হন টিউলিপ সিদ্দিক।

গত শুক্রবার ৫ জুলাই সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচনে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

জয়ের পর টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের দোয়ায় চতুর্থবারের মতো আমি নির্বাচিত হলাম। বাংলাদেশি কমিউনিটি সব সময় আমাকে সমর্থন করে। আমি তাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ যে, তারা এবারও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন টিউলিপ সিদ্দিক। এছাড়া, তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সাথে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্য ছিলেন।

টিউলিপ সিদ্দিক ২০২০ সালে দেশটির শিশুবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে। ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও তিনি একই আসনে পুনর্নির্বাচিত হন। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের ‘দ্য প্রোগ্রেস ১০০০’ তালিকায় তিনি লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মধ্যে

Image not found
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট থেকে চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন তিনি।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট (৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ) পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ডন উইলিয়ামস পেয়েছের ৮ হাজার ৪৬২ ভোট।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে শিশু ও প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক শ্যাডো মন্ত্রী এবং শ্যাডো অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন উল্লেখযোগ্য।

২০১৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নের এমপি ছিলেন। একই বছরে তিনি ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডের প্রগ্রেস ১০০০ তালিকায় লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মধ্যে স্থান পেয়েছিলেন।

২০১৫ সালের মে মাসে তিনি প্রথমবার লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন থেকে ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন এবং তার প্রথম ভাষণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন।