শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জবি ছাত্রলীগ নেতার মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানায় গত রবিবার মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান হামিম দাবি করেন, ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা দেন তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পূর্ব পাশে আসলে কোটা আন্দোলনকারীদের ব্যানারে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেন। পরে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

তিনি দাবি করেন, একপর্যায়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা স্টিলের পাইপ, রড দিয়ে তাঁর মাথায়, পিঠে, হাতে, কোমরে, বুকেসহ শরীরে রক্তাক্ত জখম করেন আন্দোলনকারীরা। পরে হত্যার উদ্দেশ্য তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়িতে ফেলে দেন। পরে আবারও অমর একুশে হলের গেস্টরুমে নিয়ে তাঁকে নির্যাতন করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে রিকশায় তুলে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জবি ছাত্রলীগ নেতার মামলা

প্রকাশিত সময় : ০৫:১১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানায় গত রবিবার মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান হামিম দাবি করেন, ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা দেন তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পূর্ব পাশে আসলে কোটা আন্দোলনকারীদের ব্যানারে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেন। পরে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

তিনি দাবি করেন, একপর্যায়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা স্টিলের পাইপ, রড দিয়ে তাঁর মাথায়, পিঠে, হাতে, কোমরে, বুকেসহ শরীরে রক্তাক্ত জখম করেন আন্দোলনকারীরা। পরে হত্যার উদ্দেশ্য তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়িতে ফেলে দেন। পরে আবারও অমর একুশে হলের গেস্টরুমে নিয়ে তাঁকে নির্যাতন করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে রিকশায় তুলে দেন।