শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র গরমে পুড়ছে সিলেট

সিলেটে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, পড়েছে তীব্র গরম। বৃহস্পতিবার সিলেটের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার কাল থেকেই কড়া রোদ আর তীব্র গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মাঝে মধ্যে মেঘের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়লেও তেজ কমেনি একটুও। ভ্যাপসা গরমে ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করছিল সর্বত্র সারাদিন। সন্ধ্যার আগে কিছুটা শীতল হাওয়া বইলেও ঘরে অবস্থারত এবং কর্মব্যস্ত মানুষের মাঝে তার প্রভাব পড়েনি। সন্ধ্যার পর গরম অনুভূত হয় অনেক বেশি।

এদিকে টানা কারফিউ এর নাকাল লোকজন শুক্রবার শিথিলের দিনে রোদ-গরম উপেক্ষা করে কাজে বের হন। ঘেমে নেয়ে তাদের নাকাল হয়ে অনেককে কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। রিকশাওয়ালা ও শ্রমজীবীরা অন্যান্য সময় গরমে ক্লান্তিতে জিরিয়ে নিলেও শুক্রবার তা করতে দেখা যায়নি অনেককে। নগরীর রিকাবীবাজারে সকাল ১১টার দিকে এক রিকশাওয়ালা বলেন অন্য সময় হলে এক টিপ দিয়ে কিছুটা জিরিয়ে নিতাম। কিন্তু গত এক সপ্তাহ খুব খারাপ গিয়েছে কারফিউ নিয়ে। তাই আজ যত কষ্টই হোক কম জিরিয়ে টিপ মারছি। দেশের অবস্থা কী হয় জানি না। ঘরে বসে থাকলে আমাদের মুখে কেউ খাবার তুলে দেবেনা। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগাম কষ্ট করে নিচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

তীব্র গরমে পুড়ছে সিলেট

প্রকাশিত সময় : ০৪:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

সিলেটে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, পড়েছে তীব্র গরম। বৃহস্পতিবার সিলেটের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার কাল থেকেই কড়া রোদ আর তীব্র গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মাঝে মধ্যে মেঘের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়লেও তেজ কমেনি একটুও। ভ্যাপসা গরমে ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করছিল সর্বত্র সারাদিন। সন্ধ্যার আগে কিছুটা শীতল হাওয়া বইলেও ঘরে অবস্থারত এবং কর্মব্যস্ত মানুষের মাঝে তার প্রভাব পড়েনি। সন্ধ্যার পর গরম অনুভূত হয় অনেক বেশি।

এদিকে টানা কারফিউ এর নাকাল লোকজন শুক্রবার শিথিলের দিনে রোদ-গরম উপেক্ষা করে কাজে বের হন। ঘেমে নেয়ে তাদের নাকাল হয়ে অনেককে কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। রিকশাওয়ালা ও শ্রমজীবীরা অন্যান্য সময় গরমে ক্লান্তিতে জিরিয়ে নিলেও শুক্রবার তা করতে দেখা যায়নি অনেককে। নগরীর রিকাবীবাজারে সকাল ১১টার দিকে এক রিকশাওয়ালা বলেন অন্য সময় হলে এক টিপ দিয়ে কিছুটা জিরিয়ে নিতাম। কিন্তু গত এক সপ্তাহ খুব খারাপ গিয়েছে কারফিউ নিয়ে। তাই আজ যত কষ্টই হোক কম জিরিয়ে টিপ মারছি। দেশের অবস্থা কী হয় জানি না। ঘরে বসে থাকলে আমাদের মুখে কেউ খাবার তুলে দেবেনা। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগাম কষ্ট করে নিচ্ছি।