বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একা একাই খুলে গেছে বাঁধ, দাবি ভারতের

বাংলাদেশে চলমান বন্যা ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হয়নি বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, ত্রিপুরার গুমতি নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার বন্যা পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই। আর তারা বাঁধ খুলে দেননি। প্রবল চাপের কারণে বাঁধ একা একা খুলে যেতে দেখেছেন তারা।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা। অনেকের দাবি, ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বলতে চাই বাংলাদেশ ও ভারতে বহমান গুমতি নদীর চারপাশে গত কয়েকদিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে যা বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।’ তারা বলেন, ডাম্বুর বাঁধ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। ১২০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে বিদ্যুৎও উৎপন্ন হয় যার ৪০ মেগাওয়াট সুবিধা পায় বাংলাদেশও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে আমাদের অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুরা ২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তি সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গত ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী প্রবাহের ক্ষেত্রে বাঁধগুলোতে স্বয়ংক্রিয় রিলিজ পরিলক্ষিত হয়েছে। অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বাস্তব সময়ের বন্যার তথ্য প্রেরণ করছি।’ তাদের দাবি, ২১ আগস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত বন্যা সম্পর্কিত তথ্য বাংলাদেশকে সরবরাহ করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় ছয়টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আর যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি। এখনো যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা ও এটি উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি নিয়ে সহযোগিতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

একা একাই খুলে গেছে বাঁধ, দাবি ভারতের

প্রকাশিত সময় : ১০:২৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশে চলমান বন্যা ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হয়নি বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, ত্রিপুরার গুমতি নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার বন্যা পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই। আর তারা বাঁধ খুলে দেননি। প্রবল চাপের কারণে বাঁধ একা একা খুলে যেতে দেখেছেন তারা।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা। অনেকের দাবি, ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বলতে চাই বাংলাদেশ ও ভারতে বহমান গুমতি নদীর চারপাশে গত কয়েকদিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে যা বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।’ তারা বলেন, ডাম্বুর বাঁধ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। ১২০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে বিদ্যুৎও উৎপন্ন হয় যার ৪০ মেগাওয়াট সুবিধা পায় বাংলাদেশও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে আমাদের অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুরা ২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তি সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গত ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী প্রবাহের ক্ষেত্রে বাঁধগুলোতে স্বয়ংক্রিয় রিলিজ পরিলক্ষিত হয়েছে। অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বাস্তব সময়ের বন্যার তথ্য প্রেরণ করছি।’ তাদের দাবি, ২১ আগস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত বন্যা সম্পর্কিত তথ্য বাংলাদেশকে সরবরাহ করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় ছয়টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আর যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি। এখনো যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা ও এটি উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি নিয়ে সহযোগিতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।