বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মষুলধারে বৃষ্টি: হাঁটুপানি রাজশাহী শহরের অনেক রাস্তা

মষুধারের বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে রাজশাহী নগরীর নিম্নাঞ্চল। হাঁটুপানিতে ভাসছে মূল বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট। বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে অনেকের বাড়ি-ঘরেও ঢুকেছে পানি।বিশেষ করে শহরের নিম্নাঞ্চলে কিছু কিছু ঘর-বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে। পদ্মা আবাসিক এলাকা, তেরোখাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় হাঁটুপানি জমে গেছে। পানি থৈ থৈ করছে। নগরীর সড়ক ঘেঁষে থাকা ড্রেনের পয়ঃনিষ্কাশনের নোংরা পানি আর বৃষ্টি পানিতে একাকার হয়ে গেছে পুরো রাজপথ।

পানি নামতে না পারায় নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেবল আজই নয়, রাজশাহীতে ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তাটি অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। একই অবস্থা দেখা দেয় নগরীর বহরমপুর এলাকার রাস্তাটিও। গত দুই বছর ধরে কয়েক হাজার কোটির টাকার উন্নয়ন হলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ‘জলজট’ ও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি আজও।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার বর্ষা ছিল বৃষ্টিহীন। প্রকৃতির পালাবদলে শুভ্র শরতের অভিষেক ঘটেছে তাই বর্ষণেই। ভাদ্র শেষে আশ্বিনের নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা ভাসতে দেখা যায়নি। শোনা যাচ্ছে আষাঢ়-শ্রাবণের মতো কালো মেঘের গর্জন।

নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার আকবর হোসেন বলেন, কদিন পর পরই বৃষ্টি ঝরছে উত্তরের এ নগরে। আর তাই জলজট নিয়েও দুর্ভোগ কাটছে না নগরবাসীর। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটছে। বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি রূপ নিয়েছে জনদুর্ভোগে। আশ্বিনের এ টানা বৃষ্টিতেই দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পথঘাট ডুবে যাওয়ায় মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পানির নিচে থাকা বিভিন্ন সড়কে খানাখন্দকের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনাও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মষুলধারে বৃষ্টি: হাঁটুপানি রাজশাহী শহরের অনেক রাস্তা

প্রকাশিত সময় : ০৭:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মষুধারের বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে রাজশাহী নগরীর নিম্নাঞ্চল। হাঁটুপানিতে ভাসছে মূল বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট। বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে অনেকের বাড়ি-ঘরেও ঢুকেছে পানি।বিশেষ করে শহরের নিম্নাঞ্চলে কিছু কিছু ঘর-বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে। পদ্মা আবাসিক এলাকা, তেরোখাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় হাঁটুপানি জমে গেছে। পানি থৈ থৈ করছে। নগরীর সড়ক ঘেঁষে থাকা ড্রেনের পয়ঃনিষ্কাশনের নোংরা পানি আর বৃষ্টি পানিতে একাকার হয়ে গেছে পুরো রাজপথ।

পানি নামতে না পারায় নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেবল আজই নয়, রাজশাহীতে ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তাটি অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। একই অবস্থা দেখা দেয় নগরীর বহরমপুর এলাকার রাস্তাটিও। গত দুই বছর ধরে কয়েক হাজার কোটির টাকার উন্নয়ন হলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ‘জলজট’ ও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি আজও।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার বর্ষা ছিল বৃষ্টিহীন। প্রকৃতির পালাবদলে শুভ্র শরতের অভিষেক ঘটেছে তাই বর্ষণেই। ভাদ্র শেষে আশ্বিনের নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা ভাসতে দেখা যায়নি। শোনা যাচ্ছে আষাঢ়-শ্রাবণের মতো কালো মেঘের গর্জন।

নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার আকবর হোসেন বলেন, কদিন পর পরই বৃষ্টি ঝরছে উত্তরের এ নগরে। আর তাই জলজট নিয়েও দুর্ভোগ কাটছে না নগরবাসীর। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটছে। বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি রূপ নিয়েছে জনদুর্ভোগে। আশ্বিনের এ টানা বৃষ্টিতেই দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পথঘাট ডুবে যাওয়ায় মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পানির নিচে থাকা বিভিন্ন সড়কে খানাখন্দকের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনাও।