বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান খামেনির

হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতাদের হত্যা এবং লেবাননে হামলা বৃদ্ধির প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে ইরান। তেহরান ও এর আঞ্চলিক মিত্ররা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কখনো পিছু হটবে না। চার বছরেরও বেশি সময় পর তেহরানের ইমাম খোমেনি র্গ্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে জুমার নামাজ পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ওই জুমার খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। খামেনি বলেন, ইসরাইলে ইরানের হামলা ‘বৈধ’।

শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ দমানো যাবে না। তিনি বলেন, ইরানের অভিযানগুলো ছিল রক্তপিপাসু ওই জঘন্য অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। খামেনি আরও বলেন, ইরান মিত্রদের প্রতি তার ‘দায়িত্ব’ সুচিন্তিতভাবে পালন করবে। বিশাল জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি ‘আফগানিস্তান থেকে ইয়েমেন, ইরান থেকে গাজা ও লেবানন’ পর্যন্ত মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের শত্রু একটাই। অভিন্ন শত্রু’ ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। খামেনি বলেন, আমাদের শত্রুদের নীতি হলো বিভাজন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করা এবং মুসলিমদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিশরীয় এবং ইরাকিদের শত্রু। তারা ইয়েমেন এবং সিরিয়ার জনগণের শত্রু।

আমাদের সবার শত্রু এক। আল-জাজিরার সংবাদিক রেসুল সারদার জানান, খামেনি এ ভাষণে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের প্রতি জোর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ইরান ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, যেগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের মতে, তাদের ছোড়া ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইসরাইল অবশ্য বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ঠেকিয়ে দিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান খামেনির

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতাদের হত্যা এবং লেবাননে হামলা বৃদ্ধির প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে ইরান। তেহরান ও এর আঞ্চলিক মিত্ররা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কখনো পিছু হটবে না। চার বছরেরও বেশি সময় পর তেহরানের ইমাম খোমেনি র্গ্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে জুমার নামাজ পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ওই জুমার খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। খামেনি বলেন, ইসরাইলে ইরানের হামলা ‘বৈধ’।

শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ দমানো যাবে না। তিনি বলেন, ইরানের অভিযানগুলো ছিল রক্তপিপাসু ওই জঘন্য অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। খামেনি আরও বলেন, ইরান মিত্রদের প্রতি তার ‘দায়িত্ব’ সুচিন্তিতভাবে পালন করবে। বিশাল জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি ‘আফগানিস্তান থেকে ইয়েমেন, ইরান থেকে গাজা ও লেবানন’ পর্যন্ত মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের শত্রু একটাই। অভিন্ন শত্রু’ ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। খামেনি বলেন, আমাদের শত্রুদের নীতি হলো বিভাজন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করা এবং মুসলিমদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিশরীয় এবং ইরাকিদের শত্রু। তারা ইয়েমেন এবং সিরিয়ার জনগণের শত্রু।

আমাদের সবার শত্রু এক। আল-জাজিরার সংবাদিক রেসুল সারদার জানান, খামেনি এ ভাষণে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের প্রতি জোর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ইরান ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, যেগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের মতে, তাদের ছোড়া ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইসরাইল অবশ্য বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ঠেকিয়ে দিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর