বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন জে হোপফিল্ড এবং জেফরি ই হিন্টন

গত বছরের ন্যায় এবারও পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল দেওয়া হল। এবারে পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং কানাডীয় পদার্থবিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে তিনটায়) নোবেল কমিটি এ নাম ঘোষণা করে।

কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

হোপফিল্ড এমন একটি গঠন বানিয়েছেন, যা তথ্য জমা করে রাখার পাশাপাশি আবার রিকনস্ট্রাক্টও (পুনর্গঠন) করতে পারে। আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা স্বাধীনভাবে তথ্যের মধ্যকার বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর পেছনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

গত বছরে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। এই তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

গবেষণার মাধ্যমে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন তারা। অতি অল্প সময়ের এই স্পন্দনের মাধ্যমে ইলেকট্রনের দ্রুত গতিবিধির ছবি তোলা সম্ভব।

এর আগে গতকাল চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যাম্ব্রস এবং গ্যারি রুভকুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন জে হোপফিল্ড এবং জেফরি ই হিন্টন

প্রকাশিত সময় : ০৫:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

গত বছরের ন্যায় এবারও পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল দেওয়া হল। এবারে পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং কানাডীয় পদার্থবিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে তিনটায়) নোবেল কমিটি এ নাম ঘোষণা করে।

কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

হোপফিল্ড এমন একটি গঠন বানিয়েছেন, যা তথ্য জমা করে রাখার পাশাপাশি আবার রিকনস্ট্রাক্টও (পুনর্গঠন) করতে পারে। আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা স্বাধীনভাবে তথ্যের মধ্যকার বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর পেছনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

গত বছরে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। এই তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

গবেষণার মাধ্যমে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন তারা। অতি অল্প সময়ের এই স্পন্দনের মাধ্যমে ইলেকট্রনের দ্রুত গতিবিধির ছবি তোলা সম্ভব।

এর আগে গতকাল চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যাম্ব্রস এবং গ্যারি রুভকুন।