বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন করে ইরানের তেল খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ইউএস ট্রেজারি) ও পররাষ্ট্র দফতর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) যৌথভাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ইরানের জ্বালানি তেল বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে অবৈধভাবে পৌঁছে দেওয়া ‘ভৌতিক জাহাজবহরের’ (ঘোস্ট ফ্লিট) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। ফলে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনকেও তারা আর সমর্থন দিতে পারবে না।” ওয়াশিংটন জানিয়েছে, শুক্রবারের পদক্ষেপগুলো ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পগুলোকে এমন খাতের তালিকায় যুক্ত করেছে, যা তেহরানকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করে। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুযোগ তৈরি করে দিল। ইউএস ট্রেজারি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেকোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে তারা। ইরানের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৯০ শতাংশ চীন কিনে থাকে। তাই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাদের জ্বালানি তেল পরিবহনকারী চীনা জাহাজের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে। গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। এরপরও আসলো যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নতুন করে ইরানের তেল খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত সময় : ০৪:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ইউএস ট্রেজারি) ও পররাষ্ট্র দফতর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) যৌথভাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ইরানের জ্বালানি তেল বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে অবৈধভাবে পৌঁছে দেওয়া ‘ভৌতিক জাহাজবহরের’ (ঘোস্ট ফ্লিট) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। ফলে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনকেও তারা আর সমর্থন দিতে পারবে না।” ওয়াশিংটন জানিয়েছে, শুক্রবারের পদক্ষেপগুলো ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পগুলোকে এমন খাতের তালিকায় যুক্ত করেছে, যা তেহরানকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করে। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুযোগ তৈরি করে দিল। ইউএস ট্রেজারি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেকোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে তারা। ইরানের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৯০ শতাংশ চীন কিনে থাকে। তাই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাদের জ্বালানি তেল পরিবহনকারী চীনা জাহাজের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে। গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। এরপরও আসলো যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা।