বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিনওয়ারের মৃত্যুর পর গাজার বাইরে থেকে নেতা নির্বাচন করতে পারে হামাস

গাজার বাইরে থেকে নতুন কোনও রাজনৈতিক নেতা বাছাই করতে পারে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ারকে বৃহত্তর কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। তবে নেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হামাসকে তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানের পছন্দকে বিবেচনায় রাখতে হবে। পাশাপাশি কাতারের স্বার্থও দেখতে হবে। উল্লেখ্য, দলটির রাজনৈতিক শাখার দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাব্য ব্যক্তিবর্গ বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে বুধবার বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মাত্র মাস তিনেক আগে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির নেতা ইসমাইল হানিয়েহ এক হামলায় প্রাণ হারান। জুলাই মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহর মৃত্যুর মাস তিনেকের মধ্যেই সিনওয়ার নিহত হলেন। তেহরানে হানিয়েহর ওপর হওয়া হামলার পিছনে ইসরায়েলের হাত ছিল বলেই সংশ্লিষ্ট সবার বিশ্বাস। হানিয়েহর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর সিনওয়ার হামাসের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র শাখাকে একত্রিত করেছিলেন। তবে এবার হামাসের এই গঠনে পরিবর্তন আসতে পারে। প্রায় বছরখানেক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে হামলার মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দলটির কয়েক হাজার সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাকে হারানো গোষ্ঠীটি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তা বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, দ্রুত নেতা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা হামাসের রয়েছে। নতুন নেতা ঘোষণার দায়িত্ব নিয়েছে গোষ্ঠীটির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংস্থা, শুরা কাউন্সিল। গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, ইসরায়েলি কারাগার, এমনকি প্রবাসী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বসবাসরত সব হামাস যোদ্ধার প্রতিনিধিত্ব করে শুরা কাউন্সিল। ফলে, নতুন নেতা গাজায় অবস্থান না করলেও, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় অংশ নিতে দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী তার কোনও বাঁধা থাকবে না। এদিকে, শুক্রবার সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া হুঁশিয়ারিমূলক এক বার্তায় বলেছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত কোনও ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি হবে না। হামাসের প্রধান মধ্যস্থতাকারী ও অন্যতম সদস্য আল-হায়াকে সিনওয়ারের সম্ভাব্য উত্তরসূরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সম্ভাব্য অন্য ব্যক্তিরা হলেন খালেদ মেশাল ও মোহাম্মদ দারউইশ। হামাসের এক সূত্র জানিয়েছে, নেতা নির্বাচনের আগেই কাতার ও অন্যান্য আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সিনওয়ারের মৃত্যুর পর গাজার বাইরে থেকে নেতা নির্বাচন করতে পারে হামাস

প্রকাশিত সময় : ১০:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

গাজার বাইরে থেকে নতুন কোনও রাজনৈতিক নেতা বাছাই করতে পারে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ারকে বৃহত্তর কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। তবে নেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হামাসকে তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানের পছন্দকে বিবেচনায় রাখতে হবে। পাশাপাশি কাতারের স্বার্থও দেখতে হবে। উল্লেখ্য, দলটির রাজনৈতিক শাখার দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাব্য ব্যক্তিবর্গ বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে বুধবার বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মাত্র মাস তিনেক আগে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির নেতা ইসমাইল হানিয়েহ এক হামলায় প্রাণ হারান। জুলাই মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহর মৃত্যুর মাস তিনেকের মধ্যেই সিনওয়ার নিহত হলেন। তেহরানে হানিয়েহর ওপর হওয়া হামলার পিছনে ইসরায়েলের হাত ছিল বলেই সংশ্লিষ্ট সবার বিশ্বাস। হানিয়েহর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর সিনওয়ার হামাসের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র শাখাকে একত্রিত করেছিলেন। তবে এবার হামাসের এই গঠনে পরিবর্তন আসতে পারে। প্রায় বছরখানেক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে হামলার মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দলটির কয়েক হাজার সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাকে হারানো গোষ্ঠীটি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তা বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, দ্রুত নেতা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা হামাসের রয়েছে। নতুন নেতা ঘোষণার দায়িত্ব নিয়েছে গোষ্ঠীটির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংস্থা, শুরা কাউন্সিল। গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, ইসরায়েলি কারাগার, এমনকি প্রবাসী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বসবাসরত সব হামাস যোদ্ধার প্রতিনিধিত্ব করে শুরা কাউন্সিল। ফলে, নতুন নেতা গাজায় অবস্থান না করলেও, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় অংশ নিতে দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী তার কোনও বাঁধা থাকবে না। এদিকে, শুক্রবার সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া হুঁশিয়ারিমূলক এক বার্তায় বলেছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত কোনও ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি হবে না। হামাসের প্রধান মধ্যস্থতাকারী ও অন্যতম সদস্য আল-হায়াকে সিনওয়ারের সম্ভাব্য উত্তরসূরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সম্ভাব্য অন্য ব্যক্তিরা হলেন খালেদ মেশাল ও মোহাম্মদ দারউইশ। হামাসের এক সূত্র জানিয়েছে, নেতা নির্বাচনের আগেই কাতার ও অন্যান্য আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন