বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’

বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত লঘুচাপটি আজ সোমবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী বুধবারের মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত করতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর কিছু অংশ বাংলাদেশের খুলনা ও সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়েও অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার-এর দেওয়া নাম। এর প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে দেশে বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি কিছুটা বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃষ্টি মূলত বেশি বাড়তে পারে বৃহস্পতিবার থেকে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। লঘুচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা সোমবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালের মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এর গতিপথ এখন পর্যন্ত ভারতের দিকেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের খুলনার কিছু অংশ পেলেও পেতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। নিম্নচাপ হওয়ার পর এ সম্পর্কে আরো নির্দিষ্ট করে বলা যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। পলাশ বলেন, এটি ২৩ অক্টোবর (বুধবার) দিবাগত রাত ১২টার থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে সরাসরি তীব্র বা প্রবল ঘূর্নিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এতে উপকূলবর্তী জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বৃহস্পতিবার আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’

প্রকাশিত সময় : ১১:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত লঘুচাপটি আজ সোমবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী বুধবারের মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত করতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর কিছু অংশ বাংলাদেশের খুলনা ও সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়েও অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার-এর দেওয়া নাম। এর প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে দেশে বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি কিছুটা বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃষ্টি মূলত বেশি বাড়তে পারে বৃহস্পতিবার থেকে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। লঘুচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা সোমবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালের মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এর গতিপথ এখন পর্যন্ত ভারতের দিকেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের খুলনার কিছু অংশ পেলেও পেতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। নিম্নচাপ হওয়ার পর এ সম্পর্কে আরো নির্দিষ্ট করে বলা যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। পলাশ বলেন, এটি ২৩ অক্টোবর (বুধবার) দিবাগত রাত ১২টার থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে সরাসরি তীব্র বা প্রবল ঘূর্নিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এতে উপকূলবর্তী জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সূত্র: কালের কণ্ঠ