বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে ফিলিপাইনে নিহত ২৬

ফিলিপাইনের উত্তর-পূর্ব তীরে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ট্রামির কারণে বৃহস্পতিবার ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বর্তমানে ঘরছাড়া হয়েছেন এই ঝড়ের কারণে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থানীয় নাম ক্রিস্টিন, যাকে অন্যান্য দেশে ডাকা হচ্ছে ট্রামি নামে। ফিলিপাইনের মূল দ্বীপ লুজনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস দেখা যায়। খবর ডয়চে ভেলের

ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে এসে এই ঝড় পশ্চিমের দিকে যেতে শুরু করে। এরপর দক্ষিণ চীন সাগর ও দেশটির উত্তরে থাকা পাহাড়ি এলাকা, করদিলেরার দিকে এগোয়। সকালের বুলেটিনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আরও বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে, বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে।

এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে বিকোল অঞ্চলে পানিতে ডুবে যাওয়া ও বন্যার কারণে। বৃহস্পতিবার নাগা শহর থেকেই আসে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর।

উত্তর-পূর্বের রাজ্য ইসাবেলার দিভিলাকান শহরেও ট্রামি এসে পৌঁছায়, কিন্তু সেখানে কোনো হতাহতের খবর নেই, জানান শহরটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান, ইজিকিয়েল চাভেজ।

আরও বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কায় স্কুল-কলেজসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

প্রায় এক লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বর্তমানে ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। এমন শিবিরের বেশিরভাগই বিকোল অঞ্চলে, যেখানে পানি একতলা ভবনের ছাদের উচ্চতায় উঠে গেলে স্থানীয়দের ঘর ছাড়তে হয়।বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশজুড়ে কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এই ঝড়ের জন্য।

টানা দুই দিন ধরে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বাধ্য হয়েছে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা স্থগিত রাখতে।

সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে ফিলিপাইনে নিহত ২৬

প্রকাশিত সময় : ০৮:২২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিপাইনের উত্তর-পূর্ব তীরে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ট্রামির কারণে বৃহস্পতিবার ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বর্তমানে ঘরছাড়া হয়েছেন এই ঝড়ের কারণে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থানীয় নাম ক্রিস্টিন, যাকে অন্যান্য দেশে ডাকা হচ্ছে ট্রামি নামে। ফিলিপাইনের মূল দ্বীপ লুজনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস দেখা যায়। খবর ডয়চে ভেলের

ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে এসে এই ঝড় পশ্চিমের দিকে যেতে শুরু করে। এরপর দক্ষিণ চীন সাগর ও দেশটির উত্তরে থাকা পাহাড়ি এলাকা, করদিলেরার দিকে এগোয়। সকালের বুলেটিনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আরও বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে, বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে।

এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে বিকোল অঞ্চলে পানিতে ডুবে যাওয়া ও বন্যার কারণে। বৃহস্পতিবার নাগা শহর থেকেই আসে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর।

উত্তর-পূর্বের রাজ্য ইসাবেলার দিভিলাকান শহরেও ট্রামি এসে পৌঁছায়, কিন্তু সেখানে কোনো হতাহতের খবর নেই, জানান শহরটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান, ইজিকিয়েল চাভেজ।

আরও বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কায় স্কুল-কলেজসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

প্রায় এক লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বর্তমানে ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। এমন শিবিরের বেশিরভাগই বিকোল অঞ্চলে, যেখানে পানি একতলা ভবনের ছাদের উচ্চতায় উঠে গেলে স্থানীয়দের ঘর ছাড়তে হয়।বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশজুড়ে কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এই ঝড়ের জন্য।

টানা দুই দিন ধরে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বাধ্য হয়েছে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা স্থগিত রাখতে।

সূত্র: যুগান্তর