বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটের দিন ঘনাতেই ছড়িয়ে পড়েছে কারচুপির ‘বিস্তর’ অভিযোগ

ভোট কারচুপি সম্পর্কে গুজব, বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এবং সরাসরি মিথ্যা তথ্য মার্কিন নির্বাচনের আগেই অনলাইনে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

কথিত এই অনিয়মের সাথে জড়িত শত শত ঘটনা নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং রিপাবলিকান সমর্থক ও গোষ্ঠীর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ডেমোক্রেটদের কাছ থেকেও অল্প সংখ্যক পোস্ট আসছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া দাবির ঘূর্ণিঝড় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে গুজব মোকাবিলা করতে এবং ভোটারদের আশ্বস্ত করতে হচ্ছে।

প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পোস্টগুলো ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের মিথ্যা দাবিকে সমর্থন করে। তাদের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছিলেন এবং ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে আবারও প্রতারণার মাধ্যমে পরাজিত করা হবে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল তিনি মেনে নেবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সময় বলেছিলেন, যদি ‘সুষ্ঠু ও আইনগত এবং ভালো নির্বাচন’ হয় তাহলে তিনি ফলাফল মেনে নেবেন।

সোমবার প্রকাশিত সিএনএন-এসএসআরএসের জরিপ অনুসারে, ৭০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্প পরাজিত হলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন।

চলতি সপ্তাহে, ট্রাম্প নিজেই একটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

বিবিসি অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ম্যাসেজ বোর্ডে এবং চ্যাট গ্রুপে নির্বাচনী জালিয়াতির শত শত অভিযোগ দেখেছে। এই পোস্টগুলোর মধ্যে কয়েকটি লাখ লাখ বার দেখা হয়েছে৷পোস্টগুলো ইঙ্গিত দেয়ম যে অ-নাগরিকদের পক্ষে ভোট দেওয়া সহজ, ভোটিং মেশিন সম্পর্কে মিথ্যা দাবি করেছে এবং ব্যালট গণনা প্রক্রিয়ায় অবিশ্বাসের বীজ বপন করেছে।

একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, জর্জিয়ায় সম্প্রতি আগত হাইতিয়ানরা ভোট দিচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভোটের দিন ঘনাতেই ছড়িয়ে পড়েছে কারচুপির ‘বিস্তর’ অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

ভোট কারচুপি সম্পর্কে গুজব, বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এবং সরাসরি মিথ্যা তথ্য মার্কিন নির্বাচনের আগেই অনলাইনে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

কথিত এই অনিয়মের সাথে জড়িত শত শত ঘটনা নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং রিপাবলিকান সমর্থক ও গোষ্ঠীর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ডেমোক্রেটদের কাছ থেকেও অল্প সংখ্যক পোস্ট আসছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া দাবির ঘূর্ণিঝড় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে গুজব মোকাবিলা করতে এবং ভোটারদের আশ্বস্ত করতে হচ্ছে।

প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পোস্টগুলো ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের মিথ্যা দাবিকে সমর্থন করে। তাদের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছিলেন এবং ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে আবারও প্রতারণার মাধ্যমে পরাজিত করা হবে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল তিনি মেনে নেবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সময় বলেছিলেন, যদি ‘সুষ্ঠু ও আইনগত এবং ভালো নির্বাচন’ হয় তাহলে তিনি ফলাফল মেনে নেবেন।

সোমবার প্রকাশিত সিএনএন-এসএসআরএসের জরিপ অনুসারে, ৭০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্প পরাজিত হলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন।

চলতি সপ্তাহে, ট্রাম্প নিজেই একটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

বিবিসি অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ম্যাসেজ বোর্ডে এবং চ্যাট গ্রুপে নির্বাচনী জালিয়াতির শত শত অভিযোগ দেখেছে। এই পোস্টগুলোর মধ্যে কয়েকটি লাখ লাখ বার দেখা হয়েছে৷পোস্টগুলো ইঙ্গিত দেয়ম যে অ-নাগরিকদের পক্ষে ভোট দেওয়া সহজ, ভোটিং মেশিন সম্পর্কে মিথ্যা দাবি করেছে এবং ব্যালট গণনা প্রক্রিয়ায় অবিশ্বাসের বীজ বপন করেছে।

একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, জর্জিয়ায় সম্প্রতি আগত হাইতিয়ানরা ভোট দিচ্ছেন।