মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনিপুরে সহিংসতা, ইম্ফলে কারফিউ জারি

আবারও সহিংসতা শুরু হয়েছে ভারতের রাজ্য মনিপুরে। শুক্রবার মণিপুর ও আসামের সীমান্তবর্তী জিরি নদীতে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর ফের সহিংসতা শুরু হয়। গতকাল শনিবার ইম্ফল উপত্যকার অনেক বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনগণ হামলা চালায়। এ সময় উত্তেজিত মানুষ বেশ কিছু গাড়িতেও আগুন দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ইম্ফল উপত্যকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

ইম্ফল পশ্চিমের পুলিশ সুপার মেঘচন্দ্রও বলেছেন, ইম্ফল উপত্যকায় বিক্ষুব্ধ মানুষ সহিংসতা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘জেলায় পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এক পোস্টে বলেন, ‘মণিপুরে সাম্প্রতিক সহিংস সংঘর্ষ এবং ক্রমাগত রক্তপাত গভীর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় বিভাজন এবং দুর্ভোগের পরে, এটি প্রতিটি ভারতীয়র আশা ছিল যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি পুনর্মিলনের জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে এবং একটি সমাধান খুঁজে বের করবে।

রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে আবার মণিপুর সফর করার এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মনিপুরে সহিংসতা, ইম্ফলে কারফিউ জারি

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

আবারও সহিংসতা শুরু হয়েছে ভারতের রাজ্য মনিপুরে। শুক্রবার মণিপুর ও আসামের সীমান্তবর্তী জিরি নদীতে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর ফের সহিংসতা শুরু হয়। গতকাল শনিবার ইম্ফল উপত্যকার অনেক বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনগণ হামলা চালায়। এ সময় উত্তেজিত মানুষ বেশ কিছু গাড়িতেও আগুন দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ইম্ফল উপত্যকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

ইম্ফল পশ্চিমের পুলিশ সুপার মেঘচন্দ্রও বলেছেন, ইম্ফল উপত্যকায় বিক্ষুব্ধ মানুষ সহিংসতা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘জেলায় পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এক পোস্টে বলেন, ‘মণিপুরে সাম্প্রতিক সহিংস সংঘর্ষ এবং ক্রমাগত রক্তপাত গভীর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় বিভাজন এবং দুর্ভোগের পরে, এটি প্রতিটি ভারতীয়র আশা ছিল যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি পুনর্মিলনের জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে এবং একটি সমাধান খুঁজে বের করবে।

রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে আবার মণিপুর সফর করার এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’