শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরে মিলল একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভৈরব উপজেলার রানীরবাজার এলাকার একটি ভবনের ৭ তলার একটি ভাড়া বাসা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আনোয়ারাবাদ এলাকার জনি বিশ্বাস (৩০), তার স্ত্রী নিপা রানী বিশ্বাস (২৬) এবং তাদের দুই ছেলে-মেয়ে কথা বিশ্বাস (৪) ও দ্রুব বিশ্বাস (৮)। নিহত নিপা রানী বিশ্বাস সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

নিহত জনি চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ভাই সমীর চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জনি বিশ্বাস বিগত ১০/১২ বছর ধরে ভৈরবে বসবাস করেন। তিনি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। গতকাল সোমবার তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল সন্ধ্যায় ভৈরবে ফিরেন তারা। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে তার আর কথা হয়নি।

তিনি আরও বলেন,‘আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা ফোন করে জানান, সকাল থেকে ওই বাসার দরজা বন্ধ। খবর পেয়ে আমি এসে এই মর্মান্তিক ঘটনা জানতে পেয়েছি। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানাই।

আসলে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, পুলিশ ও প্রতিবেশী কেউ বলতে পারছেন না।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে এবং পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

ঘরে মিলল একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ

প্রকাশিত সময় : ১০:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভৈরব উপজেলার রানীরবাজার এলাকার একটি ভবনের ৭ তলার একটি ভাড়া বাসা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আনোয়ারাবাদ এলাকার জনি বিশ্বাস (৩০), তার স্ত্রী নিপা রানী বিশ্বাস (২৬) এবং তাদের দুই ছেলে-মেয়ে কথা বিশ্বাস (৪) ও দ্রুব বিশ্বাস (৮)। নিহত নিপা রানী বিশ্বাস সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

নিহত জনি চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ভাই সমীর চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জনি বিশ্বাস বিগত ১০/১২ বছর ধরে ভৈরবে বসবাস করেন। তিনি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। গতকাল সোমবার তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল সন্ধ্যায় ভৈরবে ফিরেন তারা। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে তার আর কথা হয়নি।

তিনি আরও বলেন,‘আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা ফোন করে জানান, সকাল থেকে ওই বাসার দরজা বন্ধ। খবর পেয়ে আমি এসে এই মর্মান্তিক ঘটনা জানতে পেয়েছি। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানাই।

আসলে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, পুলিশ ও প্রতিবেশী কেউ বলতে পারছেন না।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে এবং পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।