বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শক্তিশালী ঘাঁটি মংডু আরাকান আর্মির দখলে

বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার মংডু টাউনশিপ দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দুই দেশের মধ্যে ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত অঞ্চলে এটি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সর্বশেষ শক্তিশালী অবস্থান ছিল।

থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরাকান আর্মি ইরাবতিকে বলেছে, টানা কয়েক মাস ধরে লড়াই করে রবিবার তারা মংডু টাউনের বাইরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর ৫ নং ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি দখলে নিতে পেরেছে। সেখানে জান্তা বাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি ছিল এটি।

এর আগে, রবিবার আরাকান আর্মি জানায়, তারা জান্তা সরকারের অনুগত বাহিনী, তাদের সহযোগী আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর যোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছে। তারা ওই ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়েছে।

রাখাইন গোষ্ঠীর পরিচালিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মংডুর যুদ্ধ শেষে সোমবার আরাকান আর্মি, জান্তা বাহিনীর একজন পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন তুনকে আটক করেছে। থুরিন ছিলেন রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ১৫ নং অপারেশন কম্যান্ডের অধিনায়ক। একইসঙ্গে জান্তার সেনা ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮০ জন যোদ্ধাকে আটক করেছে বিদ্রোহীরা।

জুন মাসে মংডু টাউনশিপের একটি সৈকতে আরাকান আর্মির সৈন্যদের দেখা গেছে


গত মে মাসে রাখাইনের দখল নিতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। অর্থাৎ, প্রায় ছয় মাস লেগেছে তাদের মংডুর পতন ঘটাতে।

ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত এলাকার তিনটি টাইনশিপ – মংডু, বুথিডং ও পালেতাওয়া দখলের নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। মংডু ও বুথিডং বরাবর বাংলাদেশের সীমান্ত, আর পালেতাওয়ার সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শক্তিশালী ঘাঁটি মংডু আরাকান আর্মির দখলে

প্রকাশিত সময় : ০৯:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার মংডু টাউনশিপ দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দুই দেশের মধ্যে ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত অঞ্চলে এটি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সর্বশেষ শক্তিশালী অবস্থান ছিল।

থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরাকান আর্মি ইরাবতিকে বলেছে, টানা কয়েক মাস ধরে লড়াই করে রবিবার তারা মংডু টাউনের বাইরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর ৫ নং ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি দখলে নিতে পেরেছে। সেখানে জান্তা বাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি ছিল এটি।

এর আগে, রবিবার আরাকান আর্মি জানায়, তারা জান্তা সরকারের অনুগত বাহিনী, তাদের সহযোগী আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর যোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছে। তারা ওই ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়েছে।

রাখাইন গোষ্ঠীর পরিচালিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মংডুর যুদ্ধ শেষে সোমবার আরাকান আর্মি, জান্তা বাহিনীর একজন পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন তুনকে আটক করেছে। থুরিন ছিলেন রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ১৫ নং অপারেশন কম্যান্ডের অধিনায়ক। একইসঙ্গে জান্তার সেনা ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮০ জন যোদ্ধাকে আটক করেছে বিদ্রোহীরা।

জুন মাসে মংডু টাউনশিপের একটি সৈকতে আরাকান আর্মির সৈন্যদের দেখা গেছে


গত মে মাসে রাখাইনের দখল নিতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। অর্থাৎ, প্রায় ছয় মাস লেগেছে তাদের মংডুর পতন ঘটাতে।

ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্ত এলাকার তিনটি টাইনশিপ – মংডু, বুথিডং ও পালেতাওয়া দখলের নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। মংডু ও বুথিডং বরাবর বাংলাদেশের সীমান্ত, আর পালেতাওয়ার সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে।