বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে শীতের প্রকোপ, নওগাঁয় তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে

ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপাকে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককেই। আজ এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, আজ বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২ দিন তাপমাত্রা এরকমই থাকতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

নওগাঁয় শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। গতকাল থেকে নেই সূর্যের দেখা।  কুয়াশার কারণে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

এদিকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্র দাপটে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষও। হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ বুধবার সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

তীব্র ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থায় পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। গতকাল সারাদিন শ্বেত শুভ্র কুয়াশার সাথে সূর্যের লুকোচুরি খেলায় শেষ পর্যন্ত দেখা মিলেনি সূর্যের। রাত ও দিনের তাপমাত্রায় সামান্য হেরফের থাকলেও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুইনি অনেকেই। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেকেই।

ঠাকুরগাঁওয়ে এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। কুয়াশার দাপটে যানবাহনের হেড লাইটের আলোতেও ১০-১৫ গজ দূরত্ব পার হওয়া যায় না। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছন চালকরা।

চালকরা বলছেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এমন ঘন কুয়াশা আর দেখেনি বলে জানান জেলাবাসী। আগামী দিনগুলোতে কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা করে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের ছিন্নমূলমানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান তারা।

ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় নবজাতক ও কমবয়সি শিশুরা ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে শীতজনিত শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায সংখ্যা মেঝেতেও বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমুল মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যহত হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্টে কাটছে দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বেড়েছে শীতের প্রকোপ, নওগাঁয় তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত সময় : ১২:০২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপাকে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককেই। আজ এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, আজ বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২ দিন তাপমাত্রা এরকমই থাকতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

নওগাঁয় শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। গতকাল থেকে নেই সূর্যের দেখা।  কুয়াশার কারণে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

এদিকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্র দাপটে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষও। হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ বুধবার সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

তীব্র ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থায় পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। গতকাল সারাদিন শ্বেত শুভ্র কুয়াশার সাথে সূর্যের লুকোচুরি খেলায় শেষ পর্যন্ত দেখা মিলেনি সূর্যের। রাত ও দিনের তাপমাত্রায় সামান্য হেরফের থাকলেও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুইনি অনেকেই। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেকেই।

ঠাকুরগাঁওয়ে এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। কুয়াশার দাপটে যানবাহনের হেড লাইটের আলোতেও ১০-১৫ গজ দূরত্ব পার হওয়া যায় না। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছন চালকরা।

চালকরা বলছেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এমন ঘন কুয়াশা আর দেখেনি বলে জানান জেলাবাসী। আগামী দিনগুলোতে কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা করে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের ছিন্নমূলমানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান তারা।

ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় নবজাতক ও কমবয়সি শিশুরা ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে শীতজনিত শিশু রোগী বেড়ে যাওয়ায সংখ্যা মেঝেতেও বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমুল মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যহত হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্টে কাটছে দিন।