বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছুটির শুরুতেই সাজেকে সাড়ে ৩ হাজার পর্যটক

শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে তিন দিনের ছুটিতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে এই জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট সাজেক ভ্যালি এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। এখানকার হোটেল-মোটেলের প্রায় সবগুলো কক্ষই শতভাগ বুকিং। পর্যটক আসায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের তথ্যমতে, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। রেস্তোরাঁ আছে ১৪টির বেশি। সবগুলো হোটেলেই এখন পর্যটকদের উপস্থিতি রয়েছে।

কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, “শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটকে ভরপুর। সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে সাজেকে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাজেকের সব হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট বুকিং রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে কিংবা হোটেল-মোটেল বাড়তি ভাড়া দাবি করলে সমিতির সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানাচ্ছি।”

খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, “আজ সারাদিন সাজেকের উদ্দেশে ২০০ জিপ ও ৫০টি মাহেন্দ্র অটোরিকশা ছেড়ে গেছে। এছাড়া, শতাধিক মোটরসাইকেলও সাজেকে গেছে।”

এদিকে, রাঙামাটি জেলা সদরের পর্যটনের বিভিন্ন স্পটগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যকসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি ছিল।

কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ নীল জলরাশি ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা সুবলংয়ের উদ্দেশে নৌবিহারও করেছেন।

ঢাকা থেকে সস্ত্রীক ঘুরতে আসা রমজান আলী বলেন, “বাচ্চাদের পরীক্ষা সবেমাত্র শেষ হয়েছে। তাই ছুটির এই দিনগুলোতে রাঙামাটি ঘুরতে চলে এসেছি। রাঙামাটির পাহাড়, হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু সবকিছুই ভালো লাগছে। উপভোগ করার মতো একটি স্থান রাঙামাটি।”

হোটেল হিল পার্কের ব্যবস্থাপক স্বপন শীল বলেন, “শীতের শুরু এবং বাচ্চাদের পরীক্ষাও শেষ হওয়ায় পর্যটকরা এখন রাঙামাটি ভ্রমণ করছেন। টানা ছুটির কারণে ভালো পর্যটক এসেছে। বর্তমানে হোটেলে প্রায় সব কক্ষই বুকিং রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং রয়েছে।”

পর্যটন কমপ্লেক্সের রাঙামাটি জেলার ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন আজ (শুক্রবার) ঝুলন্ত সেতুতে আড়াই হাজার পর্যটক এসেছেন। আশা করছি, এই মাসে ভালো ব্যবসা হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ছুটির শুরুতেই সাজেকে সাড়ে ৩ হাজার পর্যটক

প্রকাশিত সময় : ১০:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে তিন দিনের ছুটিতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে এই জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট সাজেক ভ্যালি এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। এখানকার হোটেল-মোটেলের প্রায় সবগুলো কক্ষই শতভাগ বুকিং। পর্যটক আসায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের তথ্যমতে, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। রেস্তোরাঁ আছে ১৪টির বেশি। সবগুলো হোটেলেই এখন পর্যটকদের উপস্থিতি রয়েছে।

কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, “শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটকে ভরপুর। সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে সাজেকে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাজেকের সব হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট বুকিং রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে কিংবা হোটেল-মোটেল বাড়তি ভাড়া দাবি করলে সমিতির সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানাচ্ছি।”

খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, “আজ সারাদিন সাজেকের উদ্দেশে ২০০ জিপ ও ৫০টি মাহেন্দ্র অটোরিকশা ছেড়ে গেছে। এছাড়া, শতাধিক মোটরসাইকেলও সাজেকে গেছে।”

এদিকে, রাঙামাটি জেলা সদরের পর্যটনের বিভিন্ন স্পটগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যকসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি ছিল।

কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ নীল জলরাশি ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা সুবলংয়ের উদ্দেশে নৌবিহারও করেছেন।

ঢাকা থেকে সস্ত্রীক ঘুরতে আসা রমজান আলী বলেন, “বাচ্চাদের পরীক্ষা সবেমাত্র শেষ হয়েছে। তাই ছুটির এই দিনগুলোতে রাঙামাটি ঘুরতে চলে এসেছি। রাঙামাটির পাহাড়, হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু সবকিছুই ভালো লাগছে। উপভোগ করার মতো একটি স্থান রাঙামাটি।”

হোটেল হিল পার্কের ব্যবস্থাপক স্বপন শীল বলেন, “শীতের শুরু এবং বাচ্চাদের পরীক্ষাও শেষ হওয়ায় পর্যটকরা এখন রাঙামাটি ভ্রমণ করছেন। টানা ছুটির কারণে ভালো পর্যটক এসেছে। বর্তমানে হোটেলে প্রায় সব কক্ষই বুকিং রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং রয়েছে।”

পর্যটন কমপ্লেক্সের রাঙামাটি জেলার ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন আজ (শুক্রবার) ঝুলন্ত সেতুতে আড়াই হাজার পর্যটক এসেছেন। আশা করছি, এই মাসে ভালো ব্যবসা হবে।”