শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় সড়কে প্রাণ গেল বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের

টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গায় একটি বাসের চাপায় খায়রুল ইসলাম (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, খায়রুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খায়রুল ইসলাম বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। আজ সকালে বাসের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। উত্তরগামী অজ্ঞাত একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খায়রুল ইসলামের বাড়ি ভূঞাপুরের চিতুলিয়াপাড়ায়।

টাঙ্গাইলে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন বাবা-ছেলে: শনিবার বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হন।

উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের বড় আসড়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আসড়া গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী মৃত নওশেরের ছেলে মজিবুর রহমান (৫৮) ও তার বড় ছেলে জাহিদ (২৭)।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন।

নিহতরা হলেন, অটোরিকশাচালক জেলার কালিহাতী উপজেলা পাথালিয়া এলাকার সোহরাব হোসেন (৫৫) ও যাত্রী সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার সুনিল পালের ছেলে প্রদীপ পাল (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল শহরের দিকে যাচ্ছিল। আশেকপুর বাইপাস এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা অটোরিকশাচালক ও ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোরিকশাচালক সোহরাব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার প্রদীপ পালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে ঢাকা পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. সৈকত হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অটোরিকশাটি উদ্ধার করি। নিহত দুই জনের মধ্যে চালকের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। প্রদীপ পালের মরদেহ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় সড়কে প্রাণ গেল বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের

প্রকাশিত সময় : ১১:২৭:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গায় একটি বাসের চাপায় খায়রুল ইসলাম (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, খায়রুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খায়রুল ইসলাম বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। আজ সকালে বাসের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। উত্তরগামী অজ্ঞাত একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খায়রুল ইসলামের বাড়ি ভূঞাপুরের চিতুলিয়াপাড়ায়।

টাঙ্গাইলে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন বাবা-ছেলে: শনিবার বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হন।

উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের বড় আসড়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আসড়া গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী মৃত নওশেরের ছেলে মজিবুর রহমান (৫৮) ও তার বড় ছেলে জাহিদ (২৭)।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন।

নিহতরা হলেন, অটোরিকশাচালক জেলার কালিহাতী উপজেলা পাথালিয়া এলাকার সোহরাব হোসেন (৫৫) ও যাত্রী সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার সুনিল পালের ছেলে প্রদীপ পাল (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল শহরের দিকে যাচ্ছিল। আশেকপুর বাইপাস এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা অটোরিকশাচালক ও ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অটোরিকশাচালক সোহরাব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার প্রদীপ পালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে ঢাকা পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. সৈকত হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অটোরিকশাটি উদ্ধার করি। নিহত দুই জনের মধ্যে চালকের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। প্রদীপ পালের মরদেহ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।”