মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

শীতে কাঁপছে পাহাড় টিলা হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজার। জেলার শ্রীমঙ্গলে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, “আজ  দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।”

গত কয়েকদিন ধরেই শীতের দাপট চলছে এই জনপদে। শীতে চা বাগান ও হাওর এলাকার দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বেশি বিপাকে। তীব্র  শীতে  কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। বেলা বাড়ার সাথে রোদের আলো ঝলমল করলেও কনেকনে হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

জেলার চা শ্রমিক নেতা দীপংকর বলেন, “কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে।”

মৌলভীবাজার শহরের রিকশাচালক মনহর মিয়া বলেন, “শীতে বড় কষ্টে আছি। শীতের কারণে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে।”

কাউয়াদিঘি পারের কৃষক আমীরপুর গ্রামের হান্নান মিয়া বলেন, “এখন বোরো চাষের সময়। শীতের কারণে কাজে যেতে পারছি না। দুপুর ১২ টার আগে কাজে যাওয়া যায়না। দিন ছোট হওয়াতে বেশি কাজ করা যাচ্ছে না।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতে কাঁপছে পাহাড় টিলা হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজার। জেলার শ্রীমঙ্গলে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, “আজ  দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।”

গত কয়েকদিন ধরেই শীতের দাপট চলছে এই জনপদে। শীতে চা বাগান ও হাওর এলাকার দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বেশি বিপাকে। তীব্র  শীতে  কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। বেলা বাড়ার সাথে রোদের আলো ঝলমল করলেও কনেকনে হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

জেলার চা শ্রমিক নেতা দীপংকর বলেন, “কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে।”

মৌলভীবাজার শহরের রিকশাচালক মনহর মিয়া বলেন, “শীতে বড় কষ্টে আছি। শীতের কারণে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে।”

কাউয়াদিঘি পারের কৃষক আমীরপুর গ্রামের হান্নান মিয়া বলেন, “এখন বোরো চাষের সময়। শীতের কারণে কাজে যেতে পারছি না। দুপুর ১২ টার আগে কাজে যাওয়া যায়না। দিন ছোট হওয়াতে বেশি কাজ করা যাচ্ছে না।”