মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ.কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১৭৯, জীবিত উদ্ধার ২

১৮১ জনকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান মুয়ান বিমানবন্দরে বিধস্ত হয়েছে একটি বিমান। অবতরণের সময়  রানওয়ের উপরেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি ১৭৯ জনের নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন।

দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে দু’জন ব্যতীত সবাই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়ি ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বিমানটিতে এ দুজন ছাড়া বাকি আর কেউ বেঁচে নেই।

উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে আরও মৃতদেহ রয়েছে। উদ্ধারকৃত দুইজন জীবিতের মধ্যে একজন যাত্রী এবং একজন ক্রু সদস্য। বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে।

একে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা’ বলা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে গার্ডিয়ান জানায়, বিমানটি বিমানবন্দরের দেয়ালে আঘাত করার আগে জোরে বিকট আওয়াজ শুনেছিলেন তারা, আগুনে বিমানটি দুটি টুকরো হয়ে ফেটে যায়।

স্থানীয় সম্প্রচারক এমবিসি ফুটেজ সম্প্রচার করেছে যা বিমানটি নামার সময় পাখির আঘাতের ঘটনা দেখায়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।

যদি মৃতের সংখ্যা ১৭৯ নিশ্চিত করা হয়, তাহলে এটি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ বেসামরিক বিমান চলাচলের বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় ঘটনা।কোরিয়ান মাটিতে এর আগে বড় দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৩ সালের এশিয়ানা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা। যাতে ৬৮ জন মারা গিয়েছিল। ২০০২ সালে গিমহে বিমানবন্দরের কাছে একটি এয়ার চায়না দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৯ নিহত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দ.কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১৭৯, জীবিত উদ্ধার ২

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

১৮১ জনকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান মুয়ান বিমানবন্দরে বিধস্ত হয়েছে একটি বিমান। অবতরণের সময়  রানওয়ের উপরেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি ১৭৯ জনের নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন।

দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে দু’জন ব্যতীত সবাই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়ি ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বিমানটিতে এ দুজন ছাড়া বাকি আর কেউ বেঁচে নেই।

উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে আরও মৃতদেহ রয়েছে। উদ্ধারকৃত দুইজন জীবিতের মধ্যে একজন যাত্রী এবং একজন ক্রু সদস্য। বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে।

একে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা’ বলা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে গার্ডিয়ান জানায়, বিমানটি বিমানবন্দরের দেয়ালে আঘাত করার আগে জোরে বিকট আওয়াজ শুনেছিলেন তারা, আগুনে বিমানটি দুটি টুকরো হয়ে ফেটে যায়।

স্থানীয় সম্প্রচারক এমবিসি ফুটেজ সম্প্রচার করেছে যা বিমানটি নামার সময় পাখির আঘাতের ঘটনা দেখায়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।

যদি মৃতের সংখ্যা ১৭৯ নিশ্চিত করা হয়, তাহলে এটি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ বেসামরিক বিমান চলাচলের বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় ঘটনা।কোরিয়ান মাটিতে এর আগে বড় দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৩ সালের এশিয়ানা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা। যাতে ৬৮ জন মারা গিয়েছিল। ২০০২ সালে গিমহে বিমানবন্দরের কাছে একটি এয়ার চায়না দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৯ নিহত হয়।