পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, “সারা দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে তো ম্যাজিক নেই। পুলিশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ছিনতাই-খুনের মতো অপরাধ কমাতে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
আইজিপি বলেন, “৫ আগস্টের পর পুলিশ পুরো এলোমেলো ছিল ভঙ্গুর অবস্থায়। সেখান থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পুলিশকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ মানসিকভাবেও বিপদগ্রস্ত ছিল, সেখান থেকেও তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে হয়ত একটু সময় লাগবে। চুরি, ছিনতাই, হত্যাসহ নানা অপরাধ যেন কোনোভাবেই সংঘটিত না হয়, সেজন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। সবকিছুই হয়ত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, তবে সেজন্য একটু সময় লাগছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও সহযোগিতা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “স্বাধীনতার পর এমন পুলিশ বাহিনী দেখতে চায়নি জনগণ। জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ৫ আগস্টের ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারত, এত প্রাণহানি হতো না। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যে ভূমিকা পুলিশ রেখেছে, তার জন্য পুরো পুলিশ সামাজিকভাবে লজ্জিত। এ কারণে সেবার মান বাড়িয়ে সামাজিক অবস্থান ফেরাতে হবে পুলিশকে।”

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























