গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের যৌন ও মানসিক নির্যাতন, অনাহার, পোড়া এবং চিকিৎসা অবহেলাসহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল। এই সপ্তাহে জাতিসংঘে জমা দেওয়া ইসরাইলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নতুন প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়েছে।
রােববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
প্রতিবেদনটি মেডিকেল দলের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যারা ১০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি এবং বিদেশী জিম্মিকে চিকিত্সা করেছে।
এইসব জিম্মিদের অধিকাংশেই ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি চু্ক্িতর আওতায় মুক্তি পেয়েছিল। আরও আট জিম্মিকে উদ্ধার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
জিম্মিদের মধ্যে ৩০টিরও বেশি শিশু এবং কিশোর রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে একটি উত্তপ্ত বস্তু দিয়ে বেঁধে, মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
এছাড়া ইসরাইল দাবি করেছে, নারীরা বন্দুকের মুখে অপহরণকারীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষদের মারধর করা হয়েছে, ক্ষুধার্ত করে বিচ্ছিন্নভাবে আবদ্ধ করা হয়েছে এবং বাথরুমে প্রবেশ করতে অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নাম বা বয়সের ভিত্তিতে জিম্মিদের কাউকে শনাক্ত করা হয়নি।
হামাস ইসরাইল থেকে অপহৃত ২৫১ জিম্মিদের অপব্যবহারের কথা বারবার অস্বীকার করেছে। গাজায় বন্দি ১০০ জিম্মির প্রায় অর্ধেকই এখনও জীবিত রয়েছে বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ধারণা। জিম্মি চুক্তিসহ গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন আলোচনা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শোনা যাচ্ছে, যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা করতে হামাসের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দোহায় শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে নেতৃত্বে দেন দেশটির সিনিয়র কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























