সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার যেখানে হতে পারে

ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় পিলখানার বিস্ফোরক মামলার শুনানি হয়নি। প্রসিকিউশন টিম জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মামলাটির তারিখ ধার্য ছিলো। ভোরে এজলাস কক্ষ পুড়ে যাওয়ায় পর আদালত পরিদর্শন করে চলে আসেন বিচারক।

পরে প্রসিকিউশন টিমের প্রধান অ্যাডভোকেট আলহাজ বোরহান উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,“সেই চিন্তা প্রসিকিউশন করলে তো হবে না। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। একাধিক প্রপ্রোজাল এসেছে। আসামিপক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। পুরোনো জেলখানা দেওয়া যায় কি না বা মহিলা কারাগার আছে সেখানে দেওয়া যায় কি না। এরপর হলো কেরানীগঞ্জ। পুরোনো জেলখানা, না হলে মহিলা জেলখানা।”

মামলার পরবর্তী তারিখের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা কবে হবে- আমাদের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলে বিচারক ঠিক করবেন।”

আগুন লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা শুধু দেখলাম। আগুন দেওয়া হয়েছে। যারাই করেছেন, আমি মনে করি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটা আলিয়া মাদ্রাসা হোক, ব্যক্তি বা সরকারি প্রতিষ্ঠান হোক কোনো সম্পদ এভাবে ধ্বংস হোক একজন নাগরিক হিসেবে চাই না। এটা অনাকাঙ্খিত।”

মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে বুধবার রাত থেকে শিক্ষার্থীরা আলিয়া মাদ্রসা মাঠে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড়, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার, বকশীবাজার অরফানেজ রোড ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। ভোরে আদালতের এজলাস কক্ষে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। পরে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিচার কাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও সমাধান হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এখন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার যেখানে হতে পারে

প্রকাশিত সময় : ০৩:১০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় পিলখানার বিস্ফোরক মামলার শুনানি হয়নি। প্রসিকিউশন টিম জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মামলাটির তারিখ ধার্য ছিলো। ভোরে এজলাস কক্ষ পুড়ে যাওয়ায় পর আদালত পরিদর্শন করে চলে আসেন বিচারক।

পরে প্রসিকিউশন টিমের প্রধান অ্যাডভোকেট আলহাজ বোরহান উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,“সেই চিন্তা প্রসিকিউশন করলে তো হবে না। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। একাধিক প্রপ্রোজাল এসেছে। আসামিপক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। পুরোনো জেলখানা দেওয়া যায় কি না বা মহিলা কারাগার আছে সেখানে দেওয়া যায় কি না। এরপর হলো কেরানীগঞ্জ। পুরোনো জেলখানা, না হলে মহিলা জেলখানা।”

মামলার পরবর্তী তারিখের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা কবে হবে- আমাদের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলে বিচারক ঠিক করবেন।”

আগুন লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা শুধু দেখলাম। আগুন দেওয়া হয়েছে। যারাই করেছেন, আমি মনে করি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটা আলিয়া মাদ্রাসা হোক, ব্যক্তি বা সরকারি প্রতিষ্ঠান হোক কোনো সম্পদ এভাবে ধ্বংস হোক একজন নাগরিক হিসেবে চাই না। এটা অনাকাঙ্খিত।”

মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে বুধবার রাত থেকে শিক্ষার্থীরা আলিয়া মাদ্রসা মাঠে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড়, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার, বকশীবাজার অরফানেজ রোড ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। ভোরে আদালতের এজলাস কক্ষে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। পরে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিচার কাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও সমাধান হয়নি।