বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনাসহ জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে  ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। তবে ট্রাইব্যুনালে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা।

সোমবার(১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তবে ট্রাইব্যুনালে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা।

এদিকে এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর তানভীর জ্বোহা জানান, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। হত্যাকাণ্ডের আলামত গায়েব করতে সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল।

এর আগে প্রথমে কোটা এবং তারপর সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

তবে আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানা আলাপ হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি তালিকা অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৭০৮।

সরকার জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা নির্ধারণে তালিকা তৈরির কাজ চলমান।

উল্লেখ্য, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। ওইদিনই ভারতে চলে যান ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে জারি করেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

হাসিনাসহ জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে  ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। তবে ট্রাইব্যুনালে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা।

সোমবার(১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তবে ট্রাইব্যুনালে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা।

এদিকে এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর তানভীর জ্বোহা জানান, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। হত্যাকাণ্ডের আলামত গায়েব করতে সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল।

এর আগে প্রথমে কোটা এবং তারপর সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

তবে আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানা আলাপ হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি তালিকা অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৭০৮।

সরকার জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা নির্ধারণে তালিকা তৈরির কাজ চলমান।

উল্লেখ্য, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। ওইদিনই ভারতে চলে যান ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে জারি করেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।