সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এ এসআইকে তালাক, ১৬ লাখে আপস সেই কলেজছাত্রীর!

টাঙ্গাইলে ১৬ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা করেছেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শককে (এএসআই) বিয়ে করা কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার।

গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন তালাকের মাধ্যমে এই আপস করিয়ে দেন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে একজন অ্যাডভোকেট ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের ছাত্রী। বিয়ে করা এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগরপুর থানা থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় যোগদান করেছেন।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার বলেন, “যেহেতু সে আমার সাথে সংসার করবে না। তাই আর ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিন নামার ১৫ লাখ এবং তিনমাসের খরচ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে আপস হয়েছে। আদালতে আইনজীবির মাধ্যমেই তালাক হয়ে আপস-মীমাংসা করা হয়।”

এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে আসা এরশাদ বলেন, “মেয়েটা আগে টাকা হাতে নেওয়ার পর তারপর তালাকনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। টাকা ছাড়া সেসময় কিছুই বোঝেনি মেয়েটি।”

রিয়া আক্তারের চাচা বাদল মিয়া বলেন, “নাটিয়াপাড়ার পাটখড়ি এলাকার একটি ছেলের সাথে রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাস পর আর সংসার করেনি। পরে কাবিনের টাকা আদায় করার পর ওই ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই পুলিশের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে হোটেলে ধরা পড়েছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই পুলিশকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল টাকা আদায়ের। তার এই আচরণের কারণে আমরা বিব্রত হই বিভিন্ন জায়গায়।”

টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট ও রিয়ের আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, “কত টাকায় আপস হয়েছে সেটা আমাকে বলেনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার স্বজনরা আদালতে এসেছিলেন। পরে তালাকের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এ এসআইকে তালাক, ১৬ লাখে আপস সেই কলেজছাত্রীর!

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলে ১৬ লাখ টাকায় আপস-মীমাংসা করেছেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শককে (এএসআই) বিয়ে করা কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার।

গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন তালাকের মাধ্যমে এই আপস করিয়ে দেন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে একজন অ্যাডভোকেট ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের ছাত্রী। বিয়ে করা এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগরপুর থানা থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় যোগদান করেছেন।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার বলেন, “যেহেতু সে আমার সাথে সংসার করবে না। তাই আর ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিন নামার ১৫ লাখ এবং তিনমাসের খরচ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে আপস হয়েছে। আদালতে আইনজীবির মাধ্যমেই তালাক হয়ে আপস-মীমাংসা করা হয়।”

এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে আসা এরশাদ বলেন, “মেয়েটা আগে টাকা হাতে নেওয়ার পর তারপর তালাকনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। টাকা ছাড়া সেসময় কিছুই বোঝেনি মেয়েটি।”

রিয়া আক্তারের চাচা বাদল মিয়া বলেন, “নাটিয়াপাড়ার পাটখড়ি এলাকার একটি ছেলের সাথে রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাস পর আর সংসার করেনি। পরে কাবিনের টাকা আদায় করার পর ওই ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই পুলিশের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে হোটেলে ধরা পড়েছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই পুলিশকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল টাকা আদায়ের। তার এই আচরণের কারণে আমরা বিব্রত হই বিভিন্ন জায়গায়।”

টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট ও রিয়ের আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, “কত টাকায় আপস হয়েছে সেটা আমাকে বলেনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার স্বজনরা আদালতে এসেছিলেন। পরে তালাকের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।