মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে বাংলাদেশি গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি গুহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, ওই গৃহবধূ ভারতে অবৈধভাবে বাস করছিলেন। তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার শিকার গৃহবধূর নাম নাজমা। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তিনি তার স্বামীর সঙ্গেই সেখানে থাকতেন। শুক্রবার সকালে রামমূর্তি নগরের কলকেরে লেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডকে বলেছেন, “তার স্বামীর দেওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাজমার ভাইও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনিও এই শহরে থাকেন।” তবে নাজমার কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তার স্বামী সুমন বৈধভাবে গত ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করে আসছেন। তার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। তিনি সেখানে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিশোধনের কাজ করেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান আছে।

যারা বাংলাদেশে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাজমা কালকেরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতেন। তারা থাকতেন রামকৃষ্ণ নামক একটি এলাকায়। সেখান থেকে তার কর্মক্ষেত্রটি কাছেই ছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে কাজ শেষে বের হওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে পথচারীদের কাছ থেকে জরুরি বার্তা পায় পুলিশ। যারা নাজমার মরদেহ লেকের একটি নির্জন জায়গায় পড়তে থাকতে দেখেন। পুলিশ গিয়ে দেখে, নাজমার মাথা ও মুখে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তাকে শ্বাসরোধ করার চিহ্নও স্পষ্ট ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছিল তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।

নাজমার হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার ওপর কতটা যৌন পাশবিকতা চালানো হয়েছে, সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এ মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্র: ডেকান হেরাল্ড

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভারতে বাংলাদেশি গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত সময় : ১১:২৩:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি গুহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, ওই গৃহবধূ ভারতে অবৈধভাবে বাস করছিলেন। তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার শিকার গৃহবধূর নাম নাজমা। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তিনি তার স্বামীর সঙ্গেই সেখানে থাকতেন। শুক্রবার সকালে রামমূর্তি নগরের কলকেরে লেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডকে বলেছেন, “তার স্বামীর দেওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাজমার ভাইও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনিও এই শহরে থাকেন।” তবে নাজমার কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তার স্বামী সুমন বৈধভাবে গত ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করে আসছেন। তার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। তিনি সেখানে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিশোধনের কাজ করেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান আছে।

যারা বাংলাদেশে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাজমা কালকেরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতেন। তারা থাকতেন রামকৃষ্ণ নামক একটি এলাকায়। সেখান থেকে তার কর্মক্ষেত্রটি কাছেই ছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে কাজ শেষে বের হওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে পথচারীদের কাছ থেকে জরুরি বার্তা পায় পুলিশ। যারা নাজমার মরদেহ লেকের একটি নির্জন জায়গায় পড়তে থাকতে দেখেন। পুলিশ গিয়ে দেখে, নাজমার মাথা ও মুখে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তাকে শ্বাসরোধ করার চিহ্নও স্পষ্ট ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছিল তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।

নাজমার হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার ওপর কতটা যৌন পাশবিকতা চালানো হয়েছে, সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এ মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্র: ডেকান হেরাল্ড