মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লিকে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুক্ত করার ঘোষণা অমিত শাহ’র

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, তার দল দিল্লি রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সব ‘অবৈধ’ অভিবাসীকে রাজধানী থেকে বের করে দেওয়া হবে। গতকাল রবিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজ্য সরকার অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের থাকার সুযোগ দিচ্ছে। সরকার পরিবর্তন করুন, আমরা দিল্লি সব অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করব।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন দীর্ঘদিন ধরে একটি বিতর্কিত ইস্যু। তবে দিল্লিতে কত সংখ্যক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তার নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই। সমালোচকদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই ইস্যুটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজন সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করে, যা তাদের হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সমর্থকদের উজ্জীবিত করে।

তিন কোটির বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতের রাজধানী দিল্লি গত এক দশকের বেশিরভাগ সময়ই আম আদমি পার্টি (এএপি)-র নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন থেকে উঠে আসা কেজরিওয়াল পানি ও বিদ্যুতের ভর্তুকি দিয়ে দিল্লির দরিদ্রদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

তবে গত বছর তাকে ও তার দলের কয়েকজন নেতাকে মদের লাইসেন্স নিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। কেজরিওয়াল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশোধ। তিনি সরে দাঁড়ালেও দল জয়ী হলে আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার ভোট হবে। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। বিজেপি কেজরিওয়ালের দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্রিয় প্রচারণা চালাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দিল্লিকে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুক্ত করার ঘোষণা অমিত শাহ’র

প্রকাশিত সময় : ০৯:১৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, তার দল দিল্লি রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সব ‘অবৈধ’ অভিবাসীকে রাজধানী থেকে বের করে দেওয়া হবে। গতকাল রবিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজ্য সরকার অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের থাকার সুযোগ দিচ্ছে। সরকার পরিবর্তন করুন, আমরা দিল্লি সব অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করব।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন দীর্ঘদিন ধরে একটি বিতর্কিত ইস্যু। তবে দিল্লিতে কত সংখ্যক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তার নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই। সমালোচকদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই ইস্যুটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজন সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করে, যা তাদের হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সমর্থকদের উজ্জীবিত করে।

তিন কোটির বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতের রাজধানী দিল্লি গত এক দশকের বেশিরভাগ সময়ই আম আদমি পার্টি (এএপি)-র নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন থেকে উঠে আসা কেজরিওয়াল পানি ও বিদ্যুতের ভর্তুকি দিয়ে দিল্লির দরিদ্রদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

তবে গত বছর তাকে ও তার দলের কয়েকজন নেতাকে মদের লাইসেন্স নিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। কেজরিওয়াল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশোধ। তিনি সরে দাঁড়ালেও দল জয়ী হলে আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার ভোট হবে। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। বিজেপি কেজরিওয়ালের দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্রিয় প্রচারণা চালাচ্ছে।