মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হামলার সময় লুটপাটও করা হয়। তবে হামলাটি কে করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারাও হামলার সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে। হামলা নিয়ে মুখ খুলছেন না পুলিশও।

এদিকে, সাবেক সেনা প্রধানের বাড়িতে হামলা চালানোর কিছু সময় বাদে চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালিয়ে তার বাসায়ও লুটপাট করা হয় বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শতাধিক যুবক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনা প্রধান ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদের বহুতল ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এর কিছুক্ষণ বাদে একই ব্যক্তিরা চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তারা হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা চালায়। সেখানেও করা হয় লুটপাট।

স্থানীয়রা বলছে, হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে দুই বাড়িতে কোনো লোক ছিল না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি রাজনৈতিক হতে পারে। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের যে কর্মসূচি ছিল তা দিনের বেলায় শেষ হয়ে গেছে।’

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ‘সাবেক সেনা প্রধান ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে একদল লোক সন্ধ্যার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই ভবনে কেউ ছিল না। হামলাকারীরা ওই সময় নিচ তলার সোফার আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়র ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

একের পর এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুর্বৃত্তরা চলে গেল, কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেন, এ প্রশ্নের জবাবে উত্তর দেননি পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীতে মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হামলার সময় লুটপাটও করা হয়। তবে হামলাটি কে করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারাও হামলার সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে। হামলা নিয়ে মুখ খুলছেন না পুলিশও।

এদিকে, সাবেক সেনা প্রধানের বাড়িতে হামলা চালানোর কিছু সময় বাদে চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালিয়ে তার বাসায়ও লুটপাট করা হয় বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শতাধিক যুবক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনা প্রধান ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদের বহুতল ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এর কিছুক্ষণ বাদে একই ব্যক্তিরা চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তারা হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা চালায়। সেখানেও করা হয় লুটপাট।

স্থানীয়রা বলছে, হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে দুই বাড়িতে কোনো লোক ছিল না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি রাজনৈতিক হতে পারে। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের যে কর্মসূচি ছিল তা দিনের বেলায় শেষ হয়ে গেছে।’

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ‘সাবেক সেনা প্রধান ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে একদল লোক সন্ধ্যার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই ভবনে কেউ ছিল না। হামলাকারীরা ওই সময় নিচ তলার সোফার আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়র ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

একের পর এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুর্বৃত্তরা চলে গেল, কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেন, এ প্রশ্নের জবাবে উত্তর দেননি পুলিশের এ কর্মকর্তা।