বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিলে হামলাকারীরা ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে দেবিদ্বার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ইব্রাহীম, ইসমাইল, কামরুল ও কাওসার। এর মধ্যে, ইব্রাহীমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, সম্প্রতি ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছেলেদের মারামারি হয়। ওই মারামারিকে কেন্দ্র শুক্রবার বিকেলে নয়াকান্দি গ্রামের একজনকে মারধর করেন ফতাহাবাদের কয়েকজন তরুণ।

গত রাত ৮টার দিকে নয়াকান্দি গ্রামের তরুণরা ফতেহাবাদ গ্রামের কামরুল নামের একজনকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করেন। এ সময় কামরুলের সঙ্গে থাকা অন্যরা ভয়ে মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরে নয়াকান্দি গ্রামের তরুণরা মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর চালান।

এ সময় তাদের বাধা দিতে এগিয়ে এলে মসজিদের সেক্রেটারি মো. ইব্রাহিমসহ অন্তত ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাৎক্ষণিক মসজিদের ইমাম মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘‘শবে বরাতের রাতে বেশ কয়েকজন যুবক হাতে রড, হকিস্টিক, পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। তারা মসজিদে ঢুকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন। মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাধা দিলে তাকেসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করলে তারা পালিয়ে যায়।’’

মসজিদের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘‘মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল ছেলে মসজিদের বাইরে চারদিকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করছে। তাদের কয়েকজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে শুনেছি, ক্রিকেট খেলা নিয়ে আগের মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’’

দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১০:০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিলে হামলাকারীরা ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে দেবিদ্বার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ইব্রাহীম, ইসমাইল, কামরুল ও কাওসার। এর মধ্যে, ইব্রাহীমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, সম্প্রতি ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছেলেদের মারামারি হয়। ওই মারামারিকে কেন্দ্র শুক্রবার বিকেলে নয়াকান্দি গ্রামের একজনকে মারধর করেন ফতাহাবাদের কয়েকজন তরুণ।

গত রাত ৮টার দিকে নয়াকান্দি গ্রামের তরুণরা ফতেহাবাদ গ্রামের কামরুল নামের একজনকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করেন। এ সময় কামরুলের সঙ্গে থাকা অন্যরা ভয়ে মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরে নয়াকান্দি গ্রামের তরুণরা মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর চালান।

এ সময় তাদের বাধা দিতে এগিয়ে এলে মসজিদের সেক্রেটারি মো. ইব্রাহিমসহ অন্তত ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাৎক্ষণিক মসজিদের ইমাম মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘‘শবে বরাতের রাতে বেশ কয়েকজন যুবক হাতে রড, হকিস্টিক, পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। তারা মসজিদে ঢুকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন। মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাধা দিলে তাকেসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করলে তারা পালিয়ে যায়।’’

মসজিদের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘‘মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল ছেলে মসজিদের বাইরে চারদিকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করছে। তাদের কয়েকজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে শুনেছি, ক্রিকেট খেলা নিয়ে আগের মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’’

দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’’