সোনালী বাহুর মানুষ’ নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার ৮৮ বছর বয়সী জেমস হ্যারিসন মারা গেছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি নিউ সাউথ ওয়েলস সেন্ট্রাল কোস্টের একটি নার্সিংহোমে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি মারা যান বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে এএফপি।
হ্যারিসন তার বিরল অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা দিয়ে ২৪ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করায় ‘সোনালী বাহুর মানুষ’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস সংস্থা লাইফব্লাড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেমস হ্যারিসন ৬৪ বছরে এক হাজার ১৭৩ বার রক্তদান করেছেন।
তার প্লাজমাতে অ্যান্টি-ডি নামে পরিচিত একটি বিরল অ্যান্টিবডি ছিল, যা মায়েদের জন্য ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হত। এই মায়েদের রক্ত তাদের অনাগত শিশুদের রিসাস ডি হেমোলাইটিক ডিজিজ অফ ফিটুস অ্যান্ড নিউবর্ন (এইচডিএফএন) নামে পরিচিত রোগে আক্রমণের ঝুঁকিতে ছিল।
অ্যান্টি-ডি সুরক্ষা ছাড়া কত শিশু মারা যেত তা জানা অসম্ভব। সরকারি তথ্য অনুসারে, ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এইচডিএফএন ১০০ নারীর মধ্যে এক জনের উপর প্রভাব ফেলেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৬৬ সালে অ্যান্টি-ডি ট্রায়ালের সাফল্যের পর, লাইফব্লাড প্রকল্পটি আরও বিস্তৃত করার জন্য অ্যান্টিবডি সম্পন্ন ব্যক্তিদের সন্ধান শুরু হয়। ওই সময় সবদিক থেকে যোগ্য বলে বিবেচিত হন হ্যারিসন।
লাইফব্লাড জানিয়েছে, হ্যারিসন অবশ্য কয়েক বছর আগে থেকেই রক্তদান শুরু করেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি শেষবার রক্তদান করেছিলেন।
তার রক্ত ব্যবহার করে ২৪ লাখ ডোজ তৈরি করা হয়েছিল।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























