রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ অপেক্ষমাণ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন।

বৃহস্পতিবার আবু সাঈদ খান নামের এক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর পর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে মামলায় ২৮৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এ মামলায় ৮৩৪ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ১৭৮ জন।

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, আসামিপক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় ৪৬২ জনের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্য মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ এক আসামির পক্ষে দুই বারও জামিন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জামিন আদেশের বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ আদালত একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। সেখানে নতুন করে তদন্ত হচ্ছে। তাই, আদালতের উচিত ছিল টাস্কফোর্সের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজার মেয়াদ পূর্ণ করা আাসামিদের জামিন দেওয়া।

গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন জন বিডিআর সদস্যকে জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ অপেক্ষমাণ

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন।

বৃহস্পতিবার আবু সাঈদ খান নামের এক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর পর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে মামলায় ২৮৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এ মামলায় ৮৩৪ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ১৭৮ জন।

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, আসামিপক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় ৪৬২ জনের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্য মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ এক আসামির পক্ষে দুই বারও জামিন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জামিন আদেশের বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ আদালত একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। সেখানে নতুন করে তদন্ত হচ্ছে। তাই, আদালতের উচিত ছিল টাস্কফোর্সের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজার মেয়াদ পূর্ণ করা আাসামিদের জামিন দেওয়া।

গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন জন বিডিআর সদস্যকে জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।