রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের পর তাবিথের মামলার শুনানি হতে পারে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে আদালত মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনী প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তার আইনজীবীরা। ঈদের পরে শুনানির প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন তাবিথের আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের পর অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ২ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তাবিথ আউয়াল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের সামগ্রিক ফল বাতিল চাওয়া হয়। আদালতের অসহযোগিতার কারণে এতদিন মামলাটির শুনানি হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর নতুন সরকারের সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মামলাটির শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবেদনের এতদিন পর মামলাটি এবার নিষ্পত্তির দিকে এগোচ্ছে। আমরা আশা করছি তাবিথ আউয়াল ন্যায়বিচার পাবেন।’

কবে নাগাদ শুনানি বা নিষ্পত্তি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর আমরা চেষ্টা করবো শুনানির।’

জানা গেছে, অনিয়ম, দুর্নীতি, কারচুপি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে বিএনপির প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছিল দলের হাইকমান্ড। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা মামলাও করেছিলেন। সে মামলার রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আসীন হয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি এখন মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে পদে বসার রায় পেয়েছেন ইশরাক হোসেন। একই সময়ে তাবিথ আউয়ালও মামলা করেছিলেন এবং সেটিও চলমান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আটজনকে বিবাদী করে করা মামলায় তাবিথ আউয়াল উল্লেখ করেছিলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্তোষজনক সংখ্যক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাননি। যারা গেছেন, তারাও সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেননি। নির্বাচন কমিশন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা তাবিথের মামলা চলার আদেশ দেন হাইকোর্ট। তাবিথ আউয়ালের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক তখন জানান, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে তাবিথ আউয়াল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। তবে (বর্তমান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে) নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম একটি আবেদন করে বলেন, সেখানে মামলাটি চলতে পারে না। পরে ট্রাইব্যুনাল তাদের আবেদন খারিজ করে দিলে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি শেষে বলেছেন, ইভিএমে কারচুপির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্ত হবে। অবিলম্বে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলাটি এখন নিম্ন আদালতে চলমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঈদের পর তাবিথের মামলার শুনানি হতে পারে

প্রকাশিত সময় : ১১:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে আদালত মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনী প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তার আইনজীবীরা। ঈদের পরে শুনানির প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন তাবিথের আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের পর অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ২ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তাবিথ আউয়াল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের সামগ্রিক ফল বাতিল চাওয়া হয়। আদালতের অসহযোগিতার কারণে এতদিন মামলাটির শুনানি হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর নতুন সরকারের সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মামলাটির শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবেদনের এতদিন পর মামলাটি এবার নিষ্পত্তির দিকে এগোচ্ছে। আমরা আশা করছি তাবিথ আউয়াল ন্যায়বিচার পাবেন।’

কবে নাগাদ শুনানি বা নিষ্পত্তি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর আমরা চেষ্টা করবো শুনানির।’

জানা গেছে, অনিয়ম, দুর্নীতি, কারচুপি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে বিএনপির প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছিল দলের হাইকমান্ড। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা মামলাও করেছিলেন। সে মামলার রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আসীন হয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি এখন মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে পদে বসার রায় পেয়েছেন ইশরাক হোসেন। একই সময়ে তাবিথ আউয়ালও মামলা করেছিলেন এবং সেটিও চলমান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আটজনকে বিবাদী করে করা মামলায় তাবিথ আউয়াল উল্লেখ করেছিলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্তোষজনক সংখ্যক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাননি। যারা গেছেন, তারাও সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেননি। নির্বাচন কমিশন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা তাবিথের মামলা চলার আদেশ দেন হাইকোর্ট। তাবিথ আউয়ালের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক তখন জানান, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে তাবিথ আউয়াল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। তবে (বর্তমান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে) নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম একটি আবেদন করে বলেন, সেখানে মামলাটি চলতে পারে না। পরে ট্রাইব্যুনাল তাদের আবেদন খারিজ করে দিলে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি শেষে বলেছেন, ইভিএমে কারচুপির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্ত হবে। অবিলম্বে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলাটি এখন নিম্ন আদালতে চলমান।