রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোর ৪টার দিকে ১১ নম্বর রোডের একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন—ফাতেমা বেগম (৪০), তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন (২০) এবং সাদিয়ার ১১ মাস বয়সী কন্যাশিশু ইরশাত জাহান।
দগ্ধ ফাতেমার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ওই বাসায় ফাতেমা, তার মেয়ে, মেয়ের স্বামী ও নাতনিকে নিয়ে থাকতেন। ফাতেমা গ্রিন রোডের একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন। ঘটনার সময় ফাতেমা, তার মেয়ে ও নাতনি বাসায় ছিলেন। জামাতা—যিনি পেশায় গাড়িচালক—তৎমুহূর্তে বাইরে ছিলেন। ভোররাতে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে তিনি আগুন লাগার খবর জানতে পারেন। দ্রুত বাসায় গিয়ে তাদের গাড়িতে উঠানো অবস্থায় দেখতে পান এবং সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
জান্নাতুল আরও জানান, মাসের শুরুতেই বাসাটিতে ভাড়া ওঠেন তার বোন ও ভাগনি। মঙ্গলবারই রান্নার জন্য একটি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার বাসায় আনা হয়। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনজনের শরীরেই আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, তিনি ধারণা করছেন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকেই এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধ শিশুর শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি দুইজনের শরীরে সাত শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছে, তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























