সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি কর্ণে -আমি ভূবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে

  • সামিয়া রাজি:
  • প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ১১২

সামিয়া রাজি: “ কবি কাজী নজ্রুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গানে আমাদের কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য্য যেন চোখের সামনে অনুভব করায়।

গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে ডানা মেলে রক্তলাল এই কৃষ্ণচূড়া পথের ধারে নীরবে তার সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে অবিরত। বৈশাখে প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে কৃষ্ণচূড়া উঁকি দিচ্ছে তার সৌন্দর্য্যের বার্তা নিয়ে।

প্রকৃতির এই লাল রঙের আভা যে কারো চোখে এনে দেয় শিল্পের এক অপরুপ হাতছানি। আলোর শহর রাজশাহী এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন। যেদিকেই চোখ যায় না কেন একটু হলেও আগুনের ফুলকির মতো তার লাল আভায় মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। রুয়েট কিংবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) বা রাজশাহী কলেজ অথবা প্রমত্তা পদ্মার ধার ঘেষে চলা রাজপথের দুপাশে কৃষ্ণচূড়া ও জারুলের সমারোহ যেন শহরের সৌন্দর্য্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলেনিক্স রেজিয়া। এটি সিসালপিনিয়েসি গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। এই গাছের আরেক নাম গুলমোহর। যদিও তা কম লোকই জানেন।

তবে এই কৃষ্ণচূড়াকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কৃষ্ণচূড়াকে আমরা লাল রঙে বেশি দেখলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেছেন – কৃষ্ণচূড়া হলুদ ও সাদা রঙেরও হয়ে থাকে। কৃষ্ণচূড়ার অপার মহিমায় সৌন্দর্য্য ছড়ানোর পাশাপাশি এর উপকারিতাও বহুমাত্রিক। শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়,পেটের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। কলেরা,খিচুনি, দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়।

ম্যালেরিয়া , কিডনিতে পাথরের সমস্যা , মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করে। কৃষ্ণচূড়া গাছের পাতার রস পানিতে মিশিয়ে ২০ মিলিলিটার দুবার পান করলে জ্বরের ক্ষেত্রে ভালো উপকার পাওয়া যায়। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাতার নির্যাস দেওয়া হয় ।

এর পাতার ক্বাথ ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকার। কৃষ্ণচূড়া পাতা সেদ্ধ করে নির্যাস তৈরি করে কিডনিতে পাথরের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। চোখ পরিষ্কার রাখতে এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ মুক্ত রাখতে পাতার ক্বাথের পানি ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন জায়গায়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো খুবই কার্যকরী উপায়। কৃষ্ণচূড়ার অপরুপ দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য অমর হয়ে বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ। আপন মায়ার চাদর আকাশে ছড়িয়ে মেলে ধরুক স্বপ্নময় নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিক সৌন্দর্য্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

“কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি কর্ণে -আমি ভূবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সামিয়া রাজি: “ কবি কাজী নজ্রুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গানে আমাদের কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য্য যেন চোখের সামনে অনুভব করায়।

গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে ডানা মেলে রক্তলাল এই কৃষ্ণচূড়া পথের ধারে নীরবে তার সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে অবিরত। বৈশাখে প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে কৃষ্ণচূড়া উঁকি দিচ্ছে তার সৌন্দর্য্যের বার্তা নিয়ে।

প্রকৃতির এই লাল রঙের আভা যে কারো চোখে এনে দেয় শিল্পের এক অপরুপ হাতছানি। আলোর শহর রাজশাহী এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন। যেদিকেই চোখ যায় না কেন একটু হলেও আগুনের ফুলকির মতো তার লাল আভায় মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। রুয়েট কিংবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) বা রাজশাহী কলেজ অথবা প্রমত্তা পদ্মার ধার ঘেষে চলা রাজপথের দুপাশে কৃষ্ণচূড়া ও জারুলের সমারোহ যেন শহরের সৌন্দর্য্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলেনিক্স রেজিয়া। এটি সিসালপিনিয়েসি গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। এই গাছের আরেক নাম গুলমোহর। যদিও তা কম লোকই জানেন।

তবে এই কৃষ্ণচূড়াকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কৃষ্ণচূড়াকে আমরা লাল রঙে বেশি দেখলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেছেন – কৃষ্ণচূড়া হলুদ ও সাদা রঙেরও হয়ে থাকে। কৃষ্ণচূড়ার অপার মহিমায় সৌন্দর্য্য ছড়ানোর পাশাপাশি এর উপকারিতাও বহুমাত্রিক। শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়,পেটের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। কলেরা,খিচুনি, দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়।

ম্যালেরিয়া , কিডনিতে পাথরের সমস্যা , মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করে। কৃষ্ণচূড়া গাছের পাতার রস পানিতে মিশিয়ে ২০ মিলিলিটার দুবার পান করলে জ্বরের ক্ষেত্রে ভালো উপকার পাওয়া যায়। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাতার নির্যাস দেওয়া হয় ।

এর পাতার ক্বাথ ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকার। কৃষ্ণচূড়া পাতা সেদ্ধ করে নির্যাস তৈরি করে কিডনিতে পাথরের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। চোখ পরিষ্কার রাখতে এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ মুক্ত রাখতে পাতার ক্বাথের পানি ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন জায়গায়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো খুবই কার্যকরী উপায়। কৃষ্ণচূড়ার অপরুপ দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য অমর হয়ে বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ। আপন মায়ার চাদর আকাশে ছড়িয়ে মেলে ধরুক স্বপ্নময় নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিক সৌন্দর্য্য।