সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ. কোরিয়ায় নৌবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমানের কেউ বেঁচে নেই

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার বিধ্বস্ত হওয়া নৌবাহিনীর সামুদ্রিক টহল বিমানে থাকা চারজনই নিহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার একটু আগে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোহাংয়ের কাছে পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

উড্ডয়নের মাত্র ছয় মিনিট পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি দিয়ে তখন উড্ডয়ন ও অবতরণের প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছিল। এক বিবৃতিতে নৌবাহিনী বলেছে, ‘নৌবাহিনী বিধ্বস্ত সামুদ্রিক টহল বিমানের চার ক্রুর মরদেহই শনাক্ত করেছে এবং বর্তমানে তা উদ্ধারের কাজ চলছে।’ ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নিহত চারজনের মধ্যে দুজন কর্মকর্তা এবং বাকি দুজন ছিলেন নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা। উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে প্রায় ৪০ জন উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনায় কোনো বেসামরিক লোক হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। এর আগে গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যখন জেজু এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান জরুরি অবতরণের সময় কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণ হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দ. কোরিয়ায় নৌবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমানের কেউ বেঁচে নেই

প্রকাশিত সময় : ১০:০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার বিধ্বস্ত হওয়া নৌবাহিনীর সামুদ্রিক টহল বিমানে থাকা চারজনই নিহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার একটু আগে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোহাংয়ের কাছে পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

উড্ডয়নের মাত্র ছয় মিনিট পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি দিয়ে তখন উড্ডয়ন ও অবতরণের প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছিল। এক বিবৃতিতে নৌবাহিনী বলেছে, ‘নৌবাহিনী বিধ্বস্ত সামুদ্রিক টহল বিমানের চার ক্রুর মরদেহই শনাক্ত করেছে এবং বর্তমানে তা উদ্ধারের কাজ চলছে।’ ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নিহত চারজনের মধ্যে দুজন কর্মকর্তা এবং বাকি দুজন ছিলেন নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা। উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে প্রায় ৪০ জন উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনায় কোনো বেসামরিক লোক হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। এর আগে গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যখন জেজু এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান জরুরি অবতরণের সময় কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণ হয়।