শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার ছেড়েছেন গানবাংলার তাপস

গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৌশিক হোসেন তাপস জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান।
তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বছরের ৩ নভেম্বর ভোররাতে। পুলিশ তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তুলে নেয়। তার বিরুদ্ধে ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সে সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এজাহারে উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেখানে হঠাৎ হামলা চালিয়ে মারধর ও গুলি ছোড়ে। ইশতিয়াক মাহমুদের পেট, পিঠ, হাত ও মাথায় গুলির আঘাত লাগে।
ঘটনার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে গুলি অপসারণ করা হয়। পরে তিনি ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ মোট ১২৬ জনকে আসামি করা হয়।
কৌশিক হোসেন তাপস ওই মামলার ৯ নম্বর আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ রিমান্ডে নেয় এবং আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার ছেড়েছেন গানবাংলার তাপস

প্রকাশিত সময় : ০৭:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৌশিক হোসেন তাপস জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান।
তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বছরের ৩ নভেম্বর ভোররাতে। পুলিশ তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তুলে নেয়। তার বিরুদ্ধে ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সে সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এজাহারে উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেখানে হঠাৎ হামলা চালিয়ে মারধর ও গুলি ছোড়ে। ইশতিয়াক মাহমুদের পেট, পিঠ, হাত ও মাথায় গুলির আঘাত লাগে।
ঘটনার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে গুলি অপসারণ করা হয়। পরে তিনি ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ মোট ১২৬ জনকে আসামি করা হয়।
কৌশিক হোসেন তাপস ওই মামলার ৯ নম্বর আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ রিমান্ডে নেয় এবং আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।