শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শ্বশুরকে হত্যা: গৃহবধূর যাবজ্জীবন

স্বামী ছিলেন ঢাকায় চাকরিরত। সেই সুযোগে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। বিষয়টি জানতে পেরে শ্বশুর বাধা দিলে পুত্রবধূ ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তার বুকের মাঝখানে। এরপর ব্লেড দিয়ে কেটে দেন পুরুষাঙ্গ। ঘটনাস্থলে মারা যান শ্বশুর। দীর্ঘ ১১ বছর পর এ হত্যার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পুত্রবধূ মোছা. তাসলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার নথি অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ড ঘটে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামে। নিহত মো. চাঁন মিয়া (৭০) ছিলেন স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাসলিমা আক্তার (তখন বয়স ৩০) বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে শ্বশুর চাঁন মিয়া তাকে সতর্ক করলে পুত্রবধূ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজ ঘরে শ্বশুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া। রায়ের পর তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোররাতের যেকোনো সময় তাসলিমা ছুরি দিয়ে শ্বশুরের বুকে আঘাত করেন এবং পরে ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। ঘটনাস্থলে মারা যান চাঁন মিয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শ্বশুরকে হত্যা: গৃহবধূর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত সময় : ০৫:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

স্বামী ছিলেন ঢাকায় চাকরিরত। সেই সুযোগে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। বিষয়টি জানতে পেরে শ্বশুর বাধা দিলে পুত্রবধূ ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তার বুকের মাঝখানে। এরপর ব্লেড দিয়ে কেটে দেন পুরুষাঙ্গ। ঘটনাস্থলে মারা যান শ্বশুর। দীর্ঘ ১১ বছর পর এ হত্যার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পুত্রবধূ মোছা. তাসলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার নথি অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ড ঘটে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামে। নিহত মো. চাঁন মিয়া (৭০) ছিলেন স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাসলিমা আক্তার (তখন বয়স ৩০) বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে শ্বশুর চাঁন মিয়া তাকে সতর্ক করলে পুত্রবধূ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজ ঘরে শ্বশুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া। রায়ের পর তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোররাতের যেকোনো সময় তাসলিমা ছুরি দিয়ে শ্বশুরের বুকে আঘাত করেন এবং পরে ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। ঘটনাস্থলে মারা যান চাঁন মিয়া।