সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইসরায়েলকে শাস্তি পেতেই হবে’

ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানে মার্কিন হামলার পর দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে খামেনির এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এক্সে দেওয়া পোস্টে খামেনি লিখেছেন,‘জায়নবাদী শত্রু ভয়ানক একটি ভুল করেছে, করেছে জঘন্য অপরাধ; তাকে শাস্তি পেতেই হবে এবং সেই শাস্তি ইতোমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে-এখনই।’

গত শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে ইসরায়েল। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। জবাবে তেহরানও তেলআবিব লক্ষ্য করে পালটা হামলা শুরু করে। চলমান এই সংঘাতে ইতোমধ্যে উভয় পক্ষেই বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘাতের নতুন মোড় নেয় শনিবার, যখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। মার্কিন বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে একযোগে হামলা চালানো হয় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে-ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে।

এদিকে হামলার দায় স্বীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সফল আঘাতে শত্রুর পারমাণবিক সক্ষমতায় বড় ধাক্কা লেগেছে।’

ওয়াশিংটনের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পারমাণবিক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী, যা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধে স্বাক্ষরিত চুক্তি (এনপিটি) স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘ইসরায়েলকে শাস্তি পেতেই হবে’

প্রকাশিত সময় : ১০:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানে মার্কিন হামলার পর দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে খামেনির এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এক্সে দেওয়া পোস্টে খামেনি লিখেছেন,‘জায়নবাদী শত্রু ভয়ানক একটি ভুল করেছে, করেছে জঘন্য অপরাধ; তাকে শাস্তি পেতেই হবে এবং সেই শাস্তি ইতোমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে-এখনই।’

গত শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে ইসরায়েল। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। জবাবে তেহরানও তেলআবিব লক্ষ্য করে পালটা হামলা শুরু করে। চলমান এই সংঘাতে ইতোমধ্যে উভয় পক্ষেই বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘাতের নতুন মোড় নেয় শনিবার, যখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। মার্কিন বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে একযোগে হামলা চালানো হয় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে-ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে।

এদিকে হামলার দায় স্বীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সফল আঘাতে শত্রুর পারমাণবিক সক্ষমতায় বড় ধাক্কা লেগেছে।’

ওয়াশিংটনের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পারমাণবিক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী, যা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধে স্বাক্ষরিত চুক্তি (এনপিটি) স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে।