রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা নেড প্রাইস। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণা ‘না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’।

জো বাইডেন শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ছিলেন নেড প্রাইস। খবর আলজাজিরার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে নেড প্রাইস লেখেন, “যদি সত্যিকারের সাফল্য চাই, তবে সেটা হতো— ইরানকে স্থায়ী ও যাচাইযোগ্যভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। অথচ ট্রাম্প ২০১৮ সালে যে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেছিলেন, তাতে ঠিক এই ব্যবস্থাটিই ছিল।”

২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে ইরান ও ছয়টি বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমানু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ট্রাম্প ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেন। নেড প্রাইস তার পোস্টে ঐতিহাসিক ওই চুক্তির কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত কূটনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়ে একটি বাস্তব, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা। না হলে, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে আরো এগিয়ে দিতে পারে।”

তিনি সতর্ক করেন যে, শুধু যুদ্ধবিরতি ঘোষণা যথেষ্ট নয়; একটি টেকসই, যাচাইযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত কূটনৈতিক চুক্তিই হতে পারে ইরান সংকট নিরসনের একমাত্র কার্যকর পথ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’

প্রকাশিত সময় : ১১:২০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা নেড প্রাইস। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণা ‘না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’।

জো বাইডেন শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ছিলেন নেড প্রাইস। খবর আলজাজিরার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে নেড প্রাইস লেখেন, “যদি সত্যিকারের সাফল্য চাই, তবে সেটা হতো— ইরানকে স্থায়ী ও যাচাইযোগ্যভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। অথচ ট্রাম্প ২০১৮ সালে যে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেছিলেন, তাতে ঠিক এই ব্যবস্থাটিই ছিল।”

২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে ইরান ও ছয়টি বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমানু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ট্রাম্প ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেন। নেড প্রাইস তার পোস্টে ঐতিহাসিক ওই চুক্তির কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত কূটনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়ে একটি বাস্তব, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা। না হলে, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে আরো এগিয়ে দিতে পারে।”

তিনি সতর্ক করেন যে, শুধু যুদ্ধবিরতি ঘোষণা যথেষ্ট নয়; একটি টেকসই, যাচাইযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত কূটনৈতিক চুক্তিই হতে পারে ইরান সংকট নিরসনের একমাত্র কার্যকর পথ।