শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে দুদক কর্মকর্তারা অফিসের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে বেশকিছু তথ্যের অনুসন্ধান করেন। এছাড়া অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও কথা বলেন দুদকের কর্মকর্তারা।

দুদকের তিন সদস্যের এই এনফোর্সমেন্ট টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। দুদক কমিশনে যাওয়া এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান বলে জানান তিনি। আমির হোসাইন জানান, গত ২২ জুন দুদক কমিশনে অভিযোগ করেন একজন ভুক্তভোগী। এর প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে এ অভিযান চালানো হয়।

দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচন অফিসে বিভিন্ন সেবা নিতে এলে দিনের পর দিন হয়রানি হতে হয়। সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়ে দ্রুত কাজ হয় না। বাড়তি টাকা দিলে দ্রুত কাজ হয়ে যায়। দুদক কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির তথ্যাদি সংগ্রহ করেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের অফিসে সেবা নিতে কোনো হয়রানি হতে হয় না। টাকাও নেওয়া হয় না। কিন্তু পাসপোর্ট করার সময় অহেতুকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য এখানে পাঠানো হয়। তখন ট্রেজারির বাইরে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা কর্মীরা দু’একশ টাকা নেয়। পাসপোর্ট অফিস নিজেই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করতে পারে। এটা কেন যে আমাদের কাছে পাঠায় সেটা বুঝি না।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তারা যখন এসেছিলেন, তখন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানাতে পারব না।’

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযানে গিয়েছিলাম। আমরা এ ব্যাপারে দুদক কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেব।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে দুদক কর্মকর্তারা অফিসের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে বেশকিছু তথ্যের অনুসন্ধান করেন। এছাড়া অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও কথা বলেন দুদকের কর্মকর্তারা।

দুদকের তিন সদস্যের এই এনফোর্সমেন্ট টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। দুদক কমিশনে যাওয়া এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান বলে জানান তিনি। আমির হোসাইন জানান, গত ২২ জুন দুদক কমিশনে অভিযোগ করেন একজন ভুক্তভোগী। এর প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে এ অভিযান চালানো হয়।

দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচন অফিসে বিভিন্ন সেবা নিতে এলে দিনের পর দিন হয়রানি হতে হয়। সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়ে দ্রুত কাজ হয় না। বাড়তি টাকা দিলে দ্রুত কাজ হয়ে যায়। দুদক কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির তথ্যাদি সংগ্রহ করেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের অফিসে সেবা নিতে কোনো হয়রানি হতে হয় না। টাকাও নেওয়া হয় না। কিন্তু পাসপোর্ট করার সময় অহেতুকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য এখানে পাঠানো হয়। তখন ট্রেজারির বাইরে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা কর্মীরা দু’একশ টাকা নেয়। পাসপোর্ট অফিস নিজেই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করতে পারে। এটা কেন যে আমাদের কাছে পাঠায় সেটা বুঝি না।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তারা যখন এসেছিলেন, তখন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানাতে পারব না।’

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযানে গিয়েছিলাম। আমরা এ ব্যাপারে দুদক কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেব।’