শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জালিয়াতির মাধ্যমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রায় ১৩ বছর পরে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ ও রুল অনুযায়ী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ জালিয়াতির তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ। এর আগে গতকাল শনিবার হাইকোর্টের রুল ও দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩তম সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. এবিএম শাহিদুল ইসলাম, কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের প্রফেসর (অব) শামসুল আলম সরকার এবং বেরোবি রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বাছাইবোর্ডের সুপারিশপত্র ‘জালিয়াতি করে’ ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ‌্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান ১৩ বছর ধরে চাকরি করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৃতভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী মো. মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে কাটাছেঁড়া করে তাবিউরের নাম বসানো হয়।

১৩ বছর ধরে অবৈধভাবে চাকরি করে যাওয়া তাবিউরকে এখনো কেন বরখাস্ত করা হয়নি— এ প্রশ্নের জবাবে মাহামুদুল হক বলেন, ‘এটা শুধু একজনের নয়, বিগত সব উপাচার্যের দায়।’

নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আগে থেকেই তদন্ত কমিটি ছিল। তবে কিছু সিন্ডিকেট সদস্যরা চেঞ্জ হওয়ার কারণে কমিটি পুনরায় গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক তাবিউর রহমানের নিয়োগ জালিয়াতের বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবগত করার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষেদ্রুতই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জালিয়াতির মাধ্যমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রায় ১৩ বছর পরে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ ও রুল অনুযায়ী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ জালিয়াতির তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ। এর আগে গতকাল শনিবার হাইকোর্টের রুল ও দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩তম সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. এবিএম শাহিদুল ইসলাম, কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের প্রফেসর (অব) শামসুল আলম সরকার এবং বেরোবি রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বাছাইবোর্ডের সুপারিশপত্র ‘জালিয়াতি করে’ ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ‌্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান ১৩ বছর ধরে চাকরি করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৃতভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী মো. মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে কাটাছেঁড়া করে তাবিউরের নাম বসানো হয়।

১৩ বছর ধরে অবৈধভাবে চাকরি করে যাওয়া তাবিউরকে এখনো কেন বরখাস্ত করা হয়নি— এ প্রশ্নের জবাবে মাহামুদুল হক বলেন, ‘এটা শুধু একজনের নয়, বিগত সব উপাচার্যের দায়।’

নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আগে থেকেই তদন্ত কমিটি ছিল। তবে কিছু সিন্ডিকেট সদস্যরা চেঞ্জ হওয়ার কারণে কমিটি পুনরায় গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক তাবিউর রহমানের নিয়োগ জালিয়াতের বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবগত করার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষেদ্রুতই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’