শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে মসজিদের ভেতর খতিবকে কুপিয়েছে বিল্লাল

চাঁদপুর সদর উপজেলায় জুমার নামাজ শেষে গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে মসজিদের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খতিব মাওলানা আ.ন.ম. নূর রহমান মাদানীকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। উপজেলার প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের এ ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

খতিবকে কোপানোর কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন হামলাকারী বিল্লাল হোসেন। বিল্লালের স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

ভিডিওতে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘রোজার আগের দিন তিনি বলেছেন, কোরআনে মিলাদ নাই। আমি কোরআন পড়তে গিয়ে সেখানে মিলাদ পাই। সুরা আহজাবের ৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম পড়তে বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খতিব বলেছেন, অফিসারের কাছে দরখাস্ত না করে পিয়নের কাছে দরখাস্ত করলে দরখাস্ত মঞ্জুর হবে নাকি। অফিসার হচ্ছে আল্লাহ, আর পিয়ন হচ্ছে নবীজি। সে আমার নবীজিরে পিয়ন বলছে, এটা আমি মানতে পারি নাই।’

বিল্লাল বলেন, ‘কাজটি আমার অন্যায় হয়েছে। এটি আমার হাতে তুলে মেনে নিয়েছি। আমি অপরাধী। আমার সঙ্গে কোনো সংগঠন নাই। আমি কোনো দল করি না। রাজনীতি আমি ঘৃণা করি।’

বিল্লাল হোসেন কানোদীর আইয়ুব আলীর ছেলে। থাকেন বকুলতলা রোডে। পেশায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী।

আহত খতিব মাওলানা আ.ন.ম. নূর রহমান মাদানী চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ গুনরাজদি এলাকার মৃত মাওলানা জামাল উদ্দিনের ছেলে। প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে মসজিদের ভেতর খতিবকে কুপিয়েছে বিল্লাল

প্রকাশিত সময় : ১২:৩২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুর সদর উপজেলায় জুমার নামাজ শেষে গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে মসজিদের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খতিব মাওলানা আ.ন.ম. নূর রহমান মাদানীকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। উপজেলার প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের এ ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

খতিবকে কোপানোর কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন হামলাকারী বিল্লাল হোসেন। বিল্লালের স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

ভিডিওতে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘রোজার আগের দিন তিনি বলেছেন, কোরআনে মিলাদ নাই। আমি কোরআন পড়তে গিয়ে সেখানে মিলাদ পাই। সুরা আহজাবের ৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম পড়তে বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খতিব বলেছেন, অফিসারের কাছে দরখাস্ত না করে পিয়নের কাছে দরখাস্ত করলে দরখাস্ত মঞ্জুর হবে নাকি। অফিসার হচ্ছে আল্লাহ, আর পিয়ন হচ্ছে নবীজি। সে আমার নবীজিরে পিয়ন বলছে, এটা আমি মানতে পারি নাই।’

বিল্লাল বলেন, ‘কাজটি আমার অন্যায় হয়েছে। এটি আমার হাতে তুলে মেনে নিয়েছি। আমি অপরাধী। আমার সঙ্গে কোনো সংগঠন নাই। আমি কোনো দল করি না। রাজনীতি আমি ঘৃণা করি।’

বিল্লাল হোসেন কানোদীর আইয়ুব আলীর ছেলে। থাকেন বকুলতলা রোডে। পেশায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী।

আহত খতিব মাওলানা আ.ন.ম. নূর রহমান মাদানী চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ গুনরাজদি এলাকার মৃত মাওলানা জামাল উদ্দিনের ছেলে। প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম তিনি।