বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ বছর পর কারামুক্তি, বাড়ি ফিরলেন কনু মিয়া

মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েও দীর্ঘ ৩০ বছর কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের কনু মিয়া। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোদাল দিয়ে নিজের মা মেজেষ্টর বিবিকে কুপিয়ে হত্যা করেন কনু মিয়া। ঘটনার পরপরই গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় তার ভাই মনু মিয়া লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১৯৯৬ সালের ২৩ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।

হবিগঞ্জের জেল সুপার মনির হোসেন চৌধুরী জানান, কনু মিয়াকে হবিগঞ্জ ও সিলেট কারাগার এবং পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনিও মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। বিষয়টি বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ছিল।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ছিল বলে আমি জেনেছি।’

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন বিষয়টি জানার পর আসামিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য গত ৯ জুলাই একজন আইনজীবী নিযুক্ত করেন। গত সোমবার আদালতে জামিনের প্রার্থনা করা হলে জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামি কনু মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী মনু মিয়া ও তার ভাই নাসু মিয়া জিম্মা নামা প্রদান করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন, তবে মৃত্যুর তথ্য সত্য নয়: ইনকিলাব মঞ্চ

৩০ বছর পর কারামুক্তি, বাড়ি ফিরলেন কনু মিয়া

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েও দীর্ঘ ৩০ বছর কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের কনু মিয়া। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোদাল দিয়ে নিজের মা মেজেষ্টর বিবিকে কুপিয়ে হত্যা করেন কনু মিয়া। ঘটনার পরপরই গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় তার ভাই মনু মিয়া লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১৯৯৬ সালের ২৩ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।

হবিগঞ্জের জেল সুপার মনির হোসেন চৌধুরী জানান, কনু মিয়াকে হবিগঞ্জ ও সিলেট কারাগার এবং পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনিও মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। বিষয়টি বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ছিল।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ছিল বলে আমি জেনেছি।’

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন বিষয়টি জানার পর আসামিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য গত ৯ জুলাই একজন আইনজীবী নিযুক্ত করেন। গত সোমবার আদালতে জামিনের প্রার্থনা করা হলে জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামি কনু মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী মনু মিয়া ও তার ভাই নাসু মিয়া জিম্মা নামা প্রদান করেছেন।