রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের অভিযানে ৩০ ইসরায়েলি পাইলট নিহত, দাবি তেহরানের

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতে ইরানের এক অভিযানে ৩০ জন ইসরায়েলি পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরাকে নিযুক্ত ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি কোমি।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা ইসরায়েলি শাসনের জন্য কোনো ছোট ঘটনা নয়।’ তাঁর মতে, তেল আবিব সরকার এ সংক্রান্ত বহু তথ্য গোপন রেখেছে।

কোমি বলেন, এই সংঘাতে শত্রুপক্ষের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানে সরকার পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটিতে ফিরিয়ে আনা। তবে এসব লক্ষ্য পূরণে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি জানান, ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে কঠিন জবাব দিয়েছে এবং তাদের বৃহত্তর আঞ্চলিক পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলোতে একতরফা হামলা শুরু করে। টানা ১২ দিন ধরে চলা এই আগ্রাসনের মধ্যে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নতাঞ্জ, ফোর্দু ও ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

তবে ইরানি সেনাবাহিনী এই হামলার পরপরই পাল্টা জবাব দেয়। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের এয়ারোস্পেস ইউনিট ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামের অভিযানে ইসরায়েলের দখলকৃত বিভিন্ন শহরে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

সবশেষে, ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইরানের অভিযানে ৩০ ইসরায়েলি পাইলট নিহত, দাবি তেহরানের

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতে ইরানের এক অভিযানে ৩০ জন ইসরায়েলি পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরাকে নিযুক্ত ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি কোমি।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা ইসরায়েলি শাসনের জন্য কোনো ছোট ঘটনা নয়।’ তাঁর মতে, তেল আবিব সরকার এ সংক্রান্ত বহু তথ্য গোপন রেখেছে।

কোমি বলেন, এই সংঘাতে শত্রুপক্ষের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানে সরকার পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটিতে ফিরিয়ে আনা। তবে এসব লক্ষ্য পূরণে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি জানান, ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে কঠিন জবাব দিয়েছে এবং তাদের বৃহত্তর আঞ্চলিক পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলোতে একতরফা হামলা শুরু করে। টানা ১২ দিন ধরে চলা এই আগ্রাসনের মধ্যে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নতাঞ্জ, ফোর্দু ও ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

তবে ইরানি সেনাবাহিনী এই হামলার পরপরই পাল্টা জবাব দেয়। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের এয়ারোস্পেস ইউনিট ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামের অভিযানে ইসরায়েলের দখলকৃত বিভিন্ন শহরে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

সবশেষে, ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আপাতত বন্ধ রয়েছে।