রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওবামাকে গ্রেপ্তারের এআই ভিডিও পোস্ট করলেন ট্রাম্প

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে গ্রেপ্তারের একটি এআই-জেনারেটেড ভিডিও পোস্ট করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার এই ভিডিও পোস্ট করে বারাক ওবামার ওপর তার আক্রমণ আরও তীব্র করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ভিডিওটির শুরুতে ওবামা বলছেন, বিশেষত প্রেসিডেন্ট আইনের ঊর্ধ্বে। এরপর ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের কণ্ঠে শোনা যায়, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।

কৃত্রিমভাবে তৈরি দৃশ্যে দেখা যায়, এফবিআই এজেন্টরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তার করছে। একই সময়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ট্রাম্প পেছনে বসে হাসছেন।

ভিডিওর শেষাংশে দেখা যায়, ওবামা কারাগারের ভেতরে কমলা রঙের জাম্পস্যুট পরে দাঁড়িয়ে আছেন।

ভিডিওটি যে কৃত্রিমভাবে তৈরি এবং কাল্পনিক, সেই বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা বা ব্যাখ্যা ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

এনডিটিভি বলছে, ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তারপরই বিষয়টি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ধরনের একটি পোস্ট করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প- এমনটাই বলছেন সমালোচকেরা। তারা বলছেন, এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েক সপ্তাহ আগে ওবামার বিরুদ্ধে ট্রাম্প ‘উচ্চপর্যায়ের নির্বাচনী জালিয়াতি’র অভিযোগ তোলেন।

গত সপ্তাহে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি ঠেকাতে ওবামার সাবেক কর্মকর্তারা ট্রাম্প-রাশিয়া যোগসাজশের তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন। এ ব্যাপারে ‘চমৎকার’ এবং ‘অপ্রতিরোধ্য’ প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি ওবামা প্রশাসনের বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ওডিএনআই) প্রকাশিত ১১৪ পৃষ্ঠার এক নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করেছিল যে রাশিয়া ‘সম্ভবত সাইবার হামলার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে চায়নি।’

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের জন্য প্রস্তুত করা দৈনন্দিন গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ের খসড়ায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল- রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পরিকাঠামোতে সাইবার হামলা চালালেও, তা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে সফল হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ওবামাকে গ্রেপ্তারের এআই ভিডিও পোস্ট করলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে গ্রেপ্তারের একটি এআই-জেনারেটেড ভিডিও পোস্ট করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার এই ভিডিও পোস্ট করে বারাক ওবামার ওপর তার আক্রমণ আরও তীব্র করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ভিডিওটির শুরুতে ওবামা বলছেন, বিশেষত প্রেসিডেন্ট আইনের ঊর্ধ্বে। এরপর ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের কণ্ঠে শোনা যায়, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।

কৃত্রিমভাবে তৈরি দৃশ্যে দেখা যায়, এফবিআই এজেন্টরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তার করছে। একই সময়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ট্রাম্প পেছনে বসে হাসছেন।

ভিডিওর শেষাংশে দেখা যায়, ওবামা কারাগারের ভেতরে কমলা রঙের জাম্পস্যুট পরে দাঁড়িয়ে আছেন।

ভিডিওটি যে কৃত্রিমভাবে তৈরি এবং কাল্পনিক, সেই বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা বা ব্যাখ্যা ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

এনডিটিভি বলছে, ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তারপরই বিষয়টি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ধরনের একটি পোস্ট করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প- এমনটাই বলছেন সমালোচকেরা। তারা বলছেন, এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েক সপ্তাহ আগে ওবামার বিরুদ্ধে ট্রাম্প ‘উচ্চপর্যায়ের নির্বাচনী জালিয়াতি’র অভিযোগ তোলেন।

গত সপ্তাহে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি ঠেকাতে ওবামার সাবেক কর্মকর্তারা ট্রাম্প-রাশিয়া যোগসাজশের তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন। এ ব্যাপারে ‘চমৎকার’ এবং ‘অপ্রতিরোধ্য’ প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি ওবামা প্রশাসনের বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ওডিএনআই) প্রকাশিত ১১৪ পৃষ্ঠার এক নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করেছিল যে রাশিয়া ‘সম্ভবত সাইবার হামলার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে চায়নি।’

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের জন্য প্রস্তুত করা দৈনন্দিন গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ের খসড়ায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল- রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পরিকাঠামোতে সাইবার হামলা চালালেও, তা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে সফল হয়নি।